আওয়ার ইসলাম: বরিশালের হিজলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৃথকভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সুত্রগুলো জানিয়েছে, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল ভাংচুরের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপির অনুসারী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের অনুসারীরা আলাদাভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
হিজলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংসদ পংকজ নাথ অনুসারী বেলায়েত হোসেন ঢালী বলেন, প্রশাসনের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল ১০টায় তাদের কর্মসূচি ছিল উপজেলা পরিষদে বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয চত্বরে। অপরপক্ষের কর্মসূচি দেওয়া হয় বেলা ১১টায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে।
হিজলা উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ করার জন্য এমপির অনুসারীরা বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয চত্বরে জড়ো হতে থাকেন। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন নির্ধারিত সময়ের আগে সকাল ১০টায় মিছিল বের করে ভাস্কর্যের পাদদেশের দিকে এসে এমপির অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। প্রতিরোধ করতে না পেরে এ সময় এমপির অনুসারীরা দৌড়ে আত্মরক্ষা করে। বেলায়েত ঢালী জানান, হামলায় উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের স্বামী গিয়াস উদ্দিন ও যুবলীগ কর্মী মনিরসহ ৪/৫ জন আহত হন।
সাংসদ পংকজ নাথের বিরোধী গ্রুপের নের্তৃত্বে থাকা হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান টিপু সিকদার সংঘর্ষের জন্য পংকজ নাথ অনুসারীদের দায়ী করে বলেন, তাদের (এমপি বিরোধী) সমাবেশ কর্মসূচি ছিল বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয় চত্বরে। সমাবেশের আগে তারা মিছিল বের করেন।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে মিছিলটি বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয এলাকা অতিক্রম করছিল। সেখানে এমপি পংকজ নাথের কিছু অনুসারী আগে থেকেই অবস্থান করছিল। তারা অতর্কিত মিছিলের পেছনভাগে হামলা চালায়। এসময় এমপি বিরোধীদের প্রতিরোধের মুখে এমপি অনুসারীরা পালিয়ে যায়।
টিপু সিকদার সংঘর্ষের জন্য হিজলা থানার অফিসার (ওসি) ইনচার্জ অসীম কুমার সিকদারকে দায়ী করে বলেন, ওসি, এমপি অনুসারীদের প্রতি পক্ষপাতমুলক আচরন করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে ওসি এ অভিযোগটি অস্বীকার করেন।
-কেএল