আওয়ার ইসলাম: নেত্রকোনার খালিয়াজুরি থানার লেপসিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ুমকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কলেজ ছাত্রীসহ আটক করে সাধারণ জনতা। পরে তাদের থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। জনতার হাতে আটক আবদুল কাইয়ুম জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরউত্তরবন্দ গ্রামের আব্দুল মন্নাছের বাড়ি থেকে ওই কলেজ ছাত্রীসহ তাকে হাতেনাতে ধরেন স্থানীয়রা।
সাধারণ জনতারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চর উত্তরবন্দ গ্রামের আব্দুল মন্নাছের বাড়িতে যান আব্দুল কাইয়ুম। দীর্ঘ সময় পার হলেও পুলিশ সদস্য বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় খোঁজ খবর নিতে মন্নাছের বাড়িতে যান এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসী একটি ঘরে গিয়ে দেখতে পান কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ওই পুলিশ সদস্য। কাছে গিয়ে ওই তরুণীর পরিচয় জানতে চাইলে কাইয়ুম প্রথমে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেন।
কিন্তু তরুণী জানান, তাদের এখনও বিয়ে হয়নি। প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হলে ওই তরুণী স্থানীয়দের কাছে ক্ষমা চান। আর কোনোদিন এ ধরনের কাজ করবেন না বলেও জানান। এমতাবস্তায় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
থানায় অবস্থান করা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল কাইয়ুম জানান, তিনি গোপনে ২০১৮ সালে ওই তরুণীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তবে এ ব্যাপারে দীর্ঘ সময়েও কোনো ধরনের প্রমাণ দেখাতে ব্যার্থ হন তিনি। এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ওই তরুণী ও পুলিশ সদস্য কাইয়ুম বিবাহিত। তারা ওই বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তারা থানায় আছেন।
-কেএল