নিজস্ব প্রতিবেদক: নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কক্সবাজারে কর্মবিরতি পালন করছে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে কক্সবাজারের ৮টি উপজেলায়ও এই কর্মবিরতি শুরু হয়।
সকালে কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মবিরতি চলাকালীন সময় টিকাদান কাজ বন্ধ রেখেছেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা। জেলার ২৩০ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা স্ব-স্ব উপজেলা কমপ্লেক্সে অবস্থান করছেন।
এসময় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি এম.এনামুল হক এনাম বলেন, আমাদের এ তৃণমূল স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজের অর্জনেই আজ বাংলাদেশ টিকাদানে বিশ্বের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে এবং সরকার প্রধান পেয়েছে ৭টি সম্মাননা পুরষ্কার। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশন এন্ড ইমুনাইজেশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যাকসিন হিরো উপাধিতে ভূষিত করেন। এ সম্মাননা গুলো অর্জনে একমাত্র কারিগর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীগন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহাসমাবেশে আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০১৮ সালে ২ জানুয়ারি তৎকালিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। এছাড়া চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পইন বর্জন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব ও মহাপরিচালক মহোদয় আমাদের দাবি সমূহ মেনে নিয়ে আমাদের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের সাথে যে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। আমরা এই সকল প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।
‘আমরা নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে জেলায় আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের ইপিআই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম থেকেও বিরত থাকব। দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পযর্ন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।’
-এএ