বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

লামার সরইয়ে সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এম. মিজানুর রহমান
লামা বান্দরবান>

বান্দরবান লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ধুইল্যাপাড়া গ্রামের ধুইল্যা পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একমাত্র কাঁচা সড়ক দীর্ঘদিনেও কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা মাটিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই এলাকার মানুষ। পাকা রাস্তা না থাকায় এখনো মাটির রাস্তায় চলাচল করছেন তারা। মেরামতের অভাবে তাও এখন চলাচল অযোগ্য। সড়কের বেহাল দশায় চরম জনভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এক কিলোমিটার বেহাল সড়কটি কেয়াজুপাড়া এবং পাশ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলার পুঠিবিলা এবং কলাউজান ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক। অনুমানিক দিনে কয়েকশ’ লোক। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে বিকল্প রাস্তা না থাকায়। উল্লেখিত সড়কসহ আরও কয়েকটি সড়ক চলাচলের অনুপয়োগী হওয়ায় প্রতিনিয়ত পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ভাড়ায় চালিত হোন্ডা চালক ছৈয়দ হোসেন ও সামসুল আলম বলেন, সড়কটি বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে খানাখন্দ ভরপুর হয়ে মিনি পুকুরে সৃষ্টি হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই রাস্তা নাকি রোপা আমন চাষের জমি। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যানবাহনতো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাফেরা করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

এদিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও লামা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে সড়ককে ব্রীক সলিন করার জন্য আবেদন করার পরেও কোন কাজ হয়নি বলে জানান স্থানীয় সমাজ প্রতিনিধিরা।

অপরদিকে কালা মিয়া মেম্বারপাড়া আর ধুইল্যাপাড়ার মধ্যবর্তী সরই খালে সংযোগ সেতু না থাকায় মরার উপর খাড়ার ঘা-এ পরিণত হল জনজীবন বসতি। খালের উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে জিবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ধুইল্যাপাড়া, পহরচাঁন্দা, এমনকি কলাউজানসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষ। নির্মিত বাঁশের সাঁকোই এখন তাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।

স্থানীয় চৌকিদার ওসমান গনি, আবদুল মজিদসহ ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা এলাকাবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছি। কিন্তু পারাপারের জন্য লোকজন উঠলেই দুলতে থাকে সাঁকোটি। ফলে খালের দুপাশে সাধারণ জনগণসহ নারী, শিশু, বৃদ্ধা, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য সাঁকোটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকই।

ধুইল্যাপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহা. জসিম উদ্দীন বলেন, প্রতিষ্ঠান লাগোয়া সড়কটির বেহাল দশার কারণে শিক্ষকদের স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াত করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়, বর্ষাকালে অনেক সময় ছাত্র ছাত্রীরা কাদায় পড়ে গিয়ে বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানো থেকে বিরত রাখে। সুতরাং রাস্তা এবং ব্রিজটি যদি হয় স্কুলের ছাত্র ছাত্রীও বৃদ্ধি পাবে আর শতশত মানুষের ভোগান্তি লাগব হবে।

এ বিষয়ে সরই ইউপির চেয়ারম্যান মুহা. ফরিদুল আলম বলেন, আমার ইউনিয়নের কয়েকটি সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বেহাল সড়ক এবং ব্রিজের ম্যাপ নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। তবে আবেদনে কোন কাজ হয়নি।

এ অবস্থায় এলাকার হাজার মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ