আওয়ার ইসলাম: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব বলেছেন, জমিয়তের ইতিহাস আকাবিরদের রক্ত ঝড়ানো ইতিহাস। উপমহাদেশের স্বাধীনতার মূলে দারুল উলুম দেওবন্দ তথা আমাদের পুর্বসুরীদের অবদানই বেশি।
১২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ময়ময়নসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা যুব জমিয়তের কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে উলামায়ে কেরামের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, সেই ধারাবাহিকতায়ই ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে জমিয়তের নেতৃবৃন্দ অবদান রেখেছেন। তিনি এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকলকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে জমিয়তের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।
তিনি ইসলামী আন্দোলন সংগ্রামে শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক, মুফতি ফজলুল হক আমিনী, খতিব উবায়দুল হক, আল্লামা শাহ আহমদ শফী এবং মাওলানা মুহিউদ্দীন খান র. দীর্ঘত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন আজ তারা নেই, তাই আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী ও আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে নাস্তিক মুর্তাদদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
মাওলানা আব্দুল্লাহ আল বাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি শায়খ আনোয়ার মাহমুদ। প্রধান আলোচক ছিলেন ময়ময়নসিংহ জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শায়খ মাহবুবুল্লাহ, বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন নগরী।
যুব নেতা ইউসুফ বিন মুনীর ও নাদিম হাসান দিলসাদের যৌথপরিচালনায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বি বাড়ীয়া উপজেলা জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মুফিজুর রহমান, উপজেলা জমিয়তের যুগ্মআহবায়ক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন আসাদী, মাওলানা হুমায়ুন কবির, মাওলানা উমর ফারুক, মাওলানা নুরুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলীল হাবিবী, আহমদ আল হাবিব, হাসিব খান, আনিসুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা মুঈনুদ্দীন আল হাবিবকে সভাপতি, হাফিজ মাও: ইউসুফ বিন মুনীরকে সেক্রেটারি, হাফিজ মাও. নাদিম হাসান দিলসাদ কে জয়েন সেক্রেটারি ও মাসউদুর রহমান উসমানীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট যুব জমিয়ত গফরগাঁও উপজেলার কমিটি ঘোষণা করা হয়।
-এএ