শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সেই বিতর্কিত ব্যক্তি আটক

এএসপি আনিসুল করিমকে হত্যা করা হয়েছে: ডিসি হারুন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ। আজ মঙ্গলবার শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, চাকরির কারণে তিনি বরিশালে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে তার শরীর খারাপ হওয়ায় অর্থাৎ তিনি চুপচাপ হয়ে যাওয়ায় তাকে সরকারি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মানসিক হাসপাতালে থেকে রোগী হঠাৎ করে কিভাবে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চলে গেলেন বুঝতে পারলাম না।

ডিসি হারুন বলেন, কিন্তু আমরা যখন ভিডিও দেখলাম ৮-১০ জন লোক, কেউ তার মাথায় আঘাত করছে, কেউ পিঠে আঘাত করছে। তাকে টেনেহিঁচড়ে জোর করে নিয়ে যাচ্ছে। ভিডিও দেখে আমাদের স্পষ্ট মনে হয়েছে এটা হত্যাকাণ্ড । এই জন্য হত্যাকাণ্ড যে ৮-১০ জন লোক তাকে পিঠমোড়া করে নিয়ে গেছে তারা কেউ ডাক্তার না। তারা তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং তাকে মারধোর করে।

তাদের প্রত্যককেই আমরা গ্রেফতার করেছি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আদাবরের মাইন্ড এইড নামে মানসিক হাসপাতালটির কোনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাগজ নেই। তাদের কোনো ডাক্তার নেই। এছাড়া মানসিক হাসপাতাল চালানোর জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লাইসেন্স দরকার সেটিও তারা আমাদেরকে দেখাতে পারেনি। এই ভুঁইফোড় হাসপাতালে সরকারি মানসিক হাসপাতালের রোগী কিভাবে গেল- এর সঙ্গে কোনো দালাল জড়িত কিনা সেটাও আমরা দেখছি। এছাড়া কি উদ্দেশ্যে তাকে সরকারি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমরা সেটি তদন্ত করে দেখব।

অন্যদিকে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির লোকজনকেও আমরা গ্রেফতার করব। হাসপাতালের মালিকও আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। কয়েকজন রোগী আছে তারা চলে গেলে ভুঁইফোড় হাসপাতালটি আমরা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান হারুন।

তিনি বলেন, আদাবর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় কিছু অ্যাম্বুলেন্স আছে যারা সরকারি হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা থাকা সত্যেও রোগীদের এসব ভুঁইফোড় হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর সঙ্গে সরকারি হাসপাতালের কিছু ডাক্তারও জড়িত থাকতে পারে। আমরা এসব বিষয় তদন্ত করে সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

-এএ


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ