আওয়ার ইসলাম: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন শরীফ অবমাননার দায়ে আবু ইউনুস মো. শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ছাই করার ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় রুজু হওয়া মামলায় আরো ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পাটগ্রাম থানা ও লালমনিরহাট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আলোচিত এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন দফায় মোট ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের দুপুরে লালমনিরহাট আদালতে সোপর্দ করার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিকালের পর তাদের আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, পুলিশের ওপর হামলার মামলায় চারজন ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর মামলায় দুইজনসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে গ্রেফতার করা আসামিদের লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ সোপর্দ করার জন্য লালমনিরহাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম দফায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দ্বিতীয় দফায় গ্রেফতার হওয়া অপর পাঁচজন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় গ্রেফতার হওয়া অপর ছয় আসামিকেও আদালতে সোপর্দ করে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য, বুড়িমারী স্থলবন্দর কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর তার লাশ পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। নিহত জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার, বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে।
-এটি