আবদুল্লাহ তামিম।।
ডেপুটি এডিটর>
চট্টগ্রামের নাজিরহাট এফ টি ওয়াই, আজম রোডে একটি নতুন মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন নাজিরহাট বড় মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহ।
আজ শনিবার দাওরায়ে হাদিসের সবক প্রদানের মাধ্যমে আল-জামেয়াতুল ফারুকীয়া নাজিরহাট মাদরাসা নামের প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আল-জামেয়াতুল ফারুকীয়া নাজিরহাট মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহ বলেন, আমার মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত সবই নাজিরহাট মাদরাসার অবদান। আজ আমরা সে বড় মাদরাসা সম্পর্কে কেউ কোনো কথা বলবো না। বলার প্রয়োজনও নাই। তবে বিচারকের জন্য প্রয়োজন ছিলো বিচার করার পরিপূর্ণ যোগ্যতা।
তিনি আরো বলেন, আমার দোস্ত আহবাব যারা দেশে বিদেশি আছেন, আমাকে বারবার বলছিলো আপনি একটা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। আমি তখন তাদেরকে বলেছিলাম, নাজিরহাট মাদরাসায় থাকাবস্থায় আমি যদি আরেকটা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করি, তখন কালেকশন করতে গেলে আমি দুইটা রিসিট বই নিয়ে যাবো, এটা কোনো নিয়ম-নীতির মধ্যে পড়ে না। তাই আমি অন্য কোনো মারদাসা প্রতিষ্ঠা করিনি। আর আল্লাহ তায়ালা হয়ত এ সময়টাকে উপযুক্ত সময় হিসেবে দেখেছেন। তাই আমরা আজ আল-জামেয়া ফারুকীয়া নাজিরহাট মাদরাসা নামের এ প্রতিষ্ঠানটির সূচনা করেছি।
তিনি বলেন, কোনো মাদরাসা কখনো খারাপ হতে পারে না। আমরা যারা মাদরাসার দায়িত্বশীল হিসেবে দায়িত্ব পালন করি, আমরাই হয়ত খারাপ। তবে আপনারা সবসময় মাদরাসাগুলোর প্রতি খেয়াল রাখবেন লক্ষ্য রাখবেন। দোয়া করবেন।
অনুষ্ঠানে নাজিরহাট মাদরাসার সাবেক ১৩ জন শিক্ষক ও আশপাশের বহু আলেম উলামা স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি নছিরুল ইসলাম নাজিরহাট বড় মাদরাসার মুহতামিম নির্ধারণের লক্ষ্যে মজলিসে শূরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে ২৮ অক্টোবর (বুধবার) সকাল দশটায়। প্রথম অধিবেশনে মাদরাসার ৯ সদস্যের মজলিসে শূরা গঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাবুনগর মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
মজলিসে শূরা সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে নাজিরহাট মাদরাসার সিদ্ধান্ত হয় মাদরাসার মোতাওয়াল্লী আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। মুহতামিম মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী। সহকারী পরিচালক মাওলানা ইয়াহিয়া বিন আবু তাহের, সহযোগী পরিচালক মাওলানা ইসমাইল বিন শামসুদ্দিন। শিক্ষা পরিচালক মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা হাবিবুল্লাহ নদভী, সহকারী শিক্ষা পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে ইফতার জিম্মাদার মাওলানা রবিউল হাসান।
এছাড়া মাদরাসার মুহতামিম দাবীদার মাওলানা সলিমুল্লাহসহ তার সহযোগী ১৩ জনকে সর্বসম্মতভাবে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়।
উল্লেখ্য, নাজিরহাট বড় মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা ইদরিস রহ. এর ইন্তেকালের পর মুহতামিমের পদটি শূন্য হয়। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ থাকার ফলে মজলিসে শূরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। এরপর ঘটে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা। অবশেষে শুরার বৈঠকের মাধ্যমে মাদরাসার সমস্যার সমাধান করা হয়।
-এটি