আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা আলী উসমান বলেছেন
দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষত কওমী অঙ্গনের জন্য আল্লামা আহমদ শফীর অবদান ও হাদীস অধ্যাপনার জগতে তাঁর খেদমত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শায়খুল ইসলামের মৃত্যুতে এই জাতি একজন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠ হারিয়েছে তার ইন্তেকালে ইসলামী জগতে যে শূন্যতা তৈরি হলো তা সহজে পূরণ হবার নয়। আল্লামা শফী শুধু বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের গর্বই ছিলেন না, এই উপমহাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আধাত্মিক রাহবার হিসেবে শতবর্ষতেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের ঝাউতলা জামিয়ার কোরআনিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে দারুল হাীস মিলনায়তনে এনায়েতুল্লাহ আল মাদানী সন্ধালনায় শুরু হওয়া শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব লথা বলেন।
তিনি আরো বলেন"এদেশে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইজ্জত রক্ষায় শাহবাগী নাস্তিক-ব্লগারদের বিরুদ্ধে যখন আমরা সঠিক নেতৃত্বের সন্ধানে ছিলাম তখন আমিরে হেফাজতের শুধুমাত্র একটি ডাকেই গোটা বিশ্বে সাড়া জাগানো ঐতিহাসিক হেফাজতের যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল,কিংবা আমাদের ক্বওমীর লক্ষ লক্ষ সন্তানরা তাদের যুগ যুগ ধরে চেয়ে আসা সরাসরি স্বকৃীতির জন্য মিথ্যে স্বপ্ন বুনছিল তখন তিনিই তা বাস্তবেই রুপান্তর করে গেছেন।সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এমাদুল্লাহ সোহাইল তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্য বলেন শায়খুল ইসলাম আল্লামা শফি রহ. আমাদের জামিয়ার (ঝাউতলা মাদ্রাসা) জন্য ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক।
তিনি বরাবরই এই জামিয়ায় এসে আমাদের মাদ্রাসা পরিচালনায় উৎসাহ যোগাতেন।তারই একমাত্র প্রমাণ বয়সের শেষ মুহুর্তে এসে শারিরীক নানা জটিলতার পরেও তিনি আমাদের জামিয়াতে এবছরের সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।আমরা সত্যিই এমন নেতৃত্বের ছায়া আর কখনোই পাবো না।উক্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসাটির শিক্ষাসচিব মাওলান আবুল কালাম, সিনিয়র মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ আল মাসউদ,হাফেজ নুরুল কবীর,মুফতি হোসাইন আহমেদ,মাওলামা মুখতার হোসাইন,মাওলানা জাকির হোসাইন,মাওলানা ইয়াকুব,মাওলানা নুরুল আলম,মাওলানা আলাউদ্দিন আল সাবেরী, মাওলানা মুফিদুল ইসলাম সোহাগ প্রমুখ।
-এটি