আওয়ার ইসলাম: রাজশাহীর ড্রেনে টাকা ভেসে যাওয়ার খবর পেয়ে অনেকেই ড্রেনে নেমে পরেন এবং তাদের কেউ কেউ ৫ টাকার নোট থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার নোট পর্যন্ত পেয়েছেন।
টাকাগুলো রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের বলে জানা গেছে। সেগুলো পুরনো কাগজপত্রের ভেতর ছিল। শনিবার দুপুরে সেখান থেকেই কাগজপত্রের সঙ্গে খেয়াল না করে টাকাগুলোও ফেলে দেয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, এগুলো দুর্নীতি করে জমানো টাকা। ভয়ে ড্রেনে ফেলে দেয়া হয়েছে। রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, ‘আমরা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছি। ভাবতেই পারিনি পুরনো কাগজের ভেতর টাকা থাকতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘কাগজগুলো ২০১০ সালের আগের, পচে গেছে। পোড়ানোর উপায় নেই। তাই ড্রেনে ফেলে দেয়া হয়। পরে ড্রেনে টাকা পাওয়ার খবর শুনে আমরাও সেখানে যাই। তারপর ঘটনা দেখি।’
‘সব মিলিয়ে দুই-তিন হাজার টাকা থাকতে পারে, কিন্তু খবর ছড়িয়েছে লাখ লাখ টাকা,’ যোগ করেন তিনি। ড্রেনে টাকা ভাসছে এ খবর শুনে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে তারা টাকার রহস্য খুঁজে পান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রেনে এক হাজার, ৫০০, ১০০, ২০, ১০ এবং ৫ টাকার নোট পাওয়া গেছে। টাকা ভাসতে দেখে প্রথমে একজন এবং পরে অনেক মানুষ নেমে পড়েন ড্রেনে। তারা আরও জানান, টাকাগুলো অফিসার্স মেসের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছিল। ড্রেনে ভাসতে দেখে অনেকে নেমে পড়েন।
আসলাম নামের একজন জানান, তিনি এক হাজার টাকা ও ৫০০ টাকার দুটি নোট পেয়েছেন। নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রথমে টাকা কোথা থেকে এলো তা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে এর রহস্য জানা যায়।
-এটি