মাহমুদুল হাসান
বিশেষ প্রতিনিধি>
বন্যা কবলিত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ‘পিপলস ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটি অফ বাংলাদেশ’ (পিসব) -এর ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
করোনার মধ্যেই বন্যা পানি অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেতে থাকে। বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনা নদীর ভাঙন দেখা দেয়। পানিবন্দি ও গৃহহীন হয়ে পড়ে অগণিত মানুষ। মরার উপর খাড়ার ঘা এর মত অবস্থার সৃষ্টি হয় উত্তরবঙ্গের মানুষদের। এ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে পিসব উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য মাসব্যাপী বন্যার্ত সহায়তা প্রকল্প ঘোষণা করে।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে বৃহত্তর কুড়িগ্রাম জেলা নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, চিলমারী, রাজারহাট, রৌমারি ও ফুলবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় ২,৮০০ পরিবারের মাঝে ১৮-২৫ কেজি খাদ্য সামগ্রী, জরুরি চিকিৎসা সেবা এবং ৬০০টি গৃহহারা পরিবারের মাঝে ৮ফিটের ১০ গজ করে ত্রিপাল বিতরণ করে।
এদিকে বন্যার পানিতে গৃহহীন ও ফসলী জমি হারিয়ে মৃতপ্রায় অঞ্চল হলো বগুড়ার সারিয়াকান্দি। মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারিয়াকান্দিতে ৬০০ পরিবারের মাঝে ২৫ কেজি খাবার বিতরণ করা হয়। টাঙ্গাইলে ৪০০ পরিবারের মাঝে ১৯ আইটেমের ১৮ কেজি খাদ্য সামগ্রী ও জরুরি মেডিসিন বিতরণ করা হয় এবং ২০০ পরিবারের মাঝে ৮ ফিটের ১০ গজ করে ত্রিপল বিতরণ করা হয়।
উত্তরবঙ্গের বন্যার সাথে সাথে জামালপুরও বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। তাই জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় ৬৫০ পরিবারের মাঝে ১৯ আইটেমের ১৮ কেজি খাদ্য সামগ্রী ও জরুরি মেডিসিন এবং ৫৫০টি গৃহহারা পরিবারের মাঝে ১০ গজ করে ত্রিপল বিতরণ করা হয়।
কুরবানী ঈদ উপলক্ষে বন্যার্ত এলাকার দরিদ্র মানুষের জন্য ৫টি গরু ও ৮ টি ছাগল জবাই করে গোশত বিতরণ করা হয়।
বন্যা পরবর্তী সময়ে প্লাবিত এলাকাগুলোতে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই ‘পিপলস ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (পিসব) বন্যাউত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় ‘ফ্রি চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান কর্মসূচি’। এই প্রকল্পের আওতায় গত ১৫ও ১৬ই আগস্ট কুড়িগ্রামের দুটি থানায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সহযোগিতায় দু’টি মেডিকেল ক্যাম্পিং করা হয়। দু’টি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ৫০০ জন মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে শুরু থেকে উপস্থিত ছিলেন- ‘পিপলস ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (পিসব) এর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি (মাওলানা মুফতি) ইমরান হোসাইন হাবিবী। এছাড়াও পিসবের বিভিন্ন দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পিসব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষা স্বাস্থ্য ও জনসচেতনতামূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, পার্বত্য অঞ্চলগুলোর নওমুসলিমদের শিক্ষাসহায়তা, খাদ্যসঙ্কটে নিপতিত মানুষদের জন্য খাদ্য ব্যবস্থা, গৃহহারা মানুষের ঘরদান, অবস্থা সঙ্কটাপন্ন আলেম ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদানসহ নানামুখি জনকল্যাণমূলক কাজ করে আসছে।
-এএ