আব্দুর রহমান আশরাফি
কুষ্টিয়া থেকে>
স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব শিগগিরই কুষ্টিয়ার সকল মাদরাসা খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার ওলামা পরিষদ। বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার ওলামা পরিষদের এক বৈঠক থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার ওলামা পরিষদ কর্তৃক এ আহ্বান জানান।
গত মঙ্গলবার বড় আইলচারা জামিয়া ইসলামিয়া বালক বালিকা মাদ্রাসায় এ নিয়ে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা ওলামা পরিষদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মুফতি আব্দুল হামিদ বলেন করোনা মহামারির কারণে দেশের প্রায় ২২ হাজার কওমি মাদরাসার ২৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী সীমাহীন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
দীর্ঘদিন মাদরাসা বন্ধ থাকায় লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আলেমসমাজ মনে করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে সেভাবে মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রমও চলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রাতে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে গেলে যেমন দুশমনের আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে, বা ভীতি সৃষ্টি হয় তেমনি ভাবে দেশে কোরআন তেলোয়াত বন্ধ হয়ে গেলে আল্লাহর গজব নাজিল হওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়। একের পর এক মুসিবত আসতে থাকে। আবার নবীর উপর দরূদ না পড়লে, নবীর সাথে সম্পর্ক না রাখলে অন্য আমলগুলো কবুল হয় না।
এসব বিষয় নিয়ে মুরব্বি ওলামা একরাম সরকারের সাথে মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করেন। কিন্তু হাদিস ও তার সহযোগী বিষয়ের ক্লাস, তথা ইতা বিভাগ এখনো খোলার অনুমতি দেন নাই. এতদিন হিফজ বিভাগ খোলার কারণে করণা নামের কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় নাই। হেফজ বিভাগের চেয়ে কিতাব বিভাগে পড়াই গেদারিং এর পরিমাণ খুবই কম।
আর তাই আজকের সভায় সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি। সকল কওমি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগ খোলার অনুমতি প্রদান করা হোক।
দেশের কিছু আলেমের দিকে না তাকিয়ে কওমি অঙ্গনের দিকে তাকালে লক্ষ্য করে যদি অতি দ্রুত কিতাব বিভাগ খুলে দেওয়া হয়, তাহলে দেশের লক্ষ লক্ষ ওলামায়েকেরাম, ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের আন্তরিক ভালোবাসা ও অভিনন্দন পাওয়া যাবে। যাদের ব্যক্তি স্বার্থের কারণে কওমি অঙ্গন কলঙ্কিত তারাতো আস্থাহীন। একদিন মারা যাবে। তাদের দিকে তাকানো যায় এমন পজিশন আর নাই।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন মুফতি আব্দুল হামিদ, মুফতি রেজাউল করিম, মুফতি আব্দুল খালেক, মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা ইব্রাহিম, মাওলানা মনজুরুল হক, মাওলানা খাইরুল ইসলা, মাওলানা মাসুদুর রহমান মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা জমশেদ আলী, মাওলানা গোলাম রব্বানী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা শামসুল আলম, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, মাওলানা আবুল খায়ের সহ অর্ধশতাধিক ওলামায়ে কেরাম।
এ ছাড়া গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে, জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি মারগুব ইরফান বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় দেশের মাদরাসা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশের আলেমসমাজ ও অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন মাদরাসাগুলো খুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
-এটি