আওয়ার ইসলাম: বন্যায় ডুবে যাওয়া কুড়িগ্রামের কিছু উপজেলা ত্রাণসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার পাশে দাঁড়িয়েছে আস-সিরাজ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। জরুরি খাদ্য সহায়তা, ত্রিপল এবং টিউবওয়েলসহ ইত্যাদি সেবামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এ সংস্থাটি। ইতোমধ্যে বাস্তবায়নও করেছে অনেকটা।
কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলার বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়া রেললাইল ও রাস্তার দু'ধারে অবস্থানরত অসহায় ১৫০ পরিবারে চিড়ামুড়ি, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার আর ত্রিপল বিতরণ করা হয়। রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাংগা ইউনিয়নে বুড়িরহাটে তিস্তার বাঁধ ভেঙে ভেসে যাওয়া নিরন্ন পরিবারে ত্রিপল ও জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের গাবুর হেলানে বানভাসি আরও কিছু পরিবারে ঈদরাতে আনন্দ উপহার দেওয়া হয়।
প্রত্যেক প্যাকেটে ছিলো প্রায় ১০ প্রকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার। সেইসাথে ছাউনি হিসাবে দেওয়া হয় ১০ হাতের একটি ত্রিপল। সংস্থার প্রচেষ্টায় কঠিন মুহূর্তে এসব পেয়ে বানভাসি মানুষের মুখে কিছুটা হলেও হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।
চিলমারি উপজেলার স্থানীয়দের বক্তব্য হলো, দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ যাবৎ পানিতে প্লাবিত এইসব মানুষের পাশে চোখে পড়ার মতো কোনো সংস্থা এগিয়ে আসেনি। সুদূর চট্টগ্রাম থেকে এসে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা এই সংস্থার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা।
অর্গানাইজেশনের সম্মানিত পরিচালক চট্টগ্রামের জনদরদি তানভীর সিরাজ কুড়িগ্রামের বন্যার্ত এলাকার জন্য আরও কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, যেমন বাথরুম, টিউবওয়েল আর পুনঃবাসন ইত্যাদি। যার বাস্তবায়নে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন।
যেমন ১টি বাথরুম করতে লাগছে ৬-৭ হাজার আর ১টি টিউবওয়েল বসাতে প্রয়োজন ৮-১০ হাজার টাকার প্রয়োজন এবং পুনঃবাসনের জন্য ১টি পরিবারে প্রায় ৫০-৭০ হাজার টাকা খুব জরুরি। এই ব্যয়বহুল খরচের তিনি ধনীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যদি কোনো ভাইবোন এগিয়ে আসতে চায় তাহলে তারা এই নম্বরে যোগাযোগ ও বিকাশ করতে পারে, 01848 062000। এসব কাজ যদি সম্পন্ন করা যায় তাহলে বানভাসিরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
উল্লেখ্য, করোনার সুচনাকাল থেকে সময় পথচারীদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এককভাবে জনসেবার কার্যক্রম শুরু করেন এই দরদি মানুষটি। কাজের প্রয়োজনীয়তা, পরিধি ইত্যাদির কারণে 'আস-সিরাজ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন' নামে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা-উপজেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে গরীব ও অসহায় পথচারীর মাঝে মুরগী খিচুড়ি বিতরণ এবং বন্যার্ত এলাকা আর পার্বত্য জেলাসমূহে করোনার এই কঠিন সময়ে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার তরে সার্বিক সহযোগিতাসহ সমাজ সেবায় তৎপর এই সংস্থাটি। চাইলে আপনারাও মানবসেবার এই কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
-এটি