আওয়ার ইসলাম: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফারণে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বন্দর কবরস্থান রোড দিঘীর পাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই দুই শিশু এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
নিহতরা হলেন- বিস্ফোরিত ভবনের নীচতলার বাসিন্দা খোরশেদ আলমের দুই ছেলে মাসমুন (১৩) ও জিসান (৮) এবং পাশের বাড়ির হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী লাবনী (৩০)। আহতরা হলেন- সহিদ (৪৫), নাবিলা (৮), রুবেল শেখ (২৮), লেকমত শেখ (৫৫) ও তামান্না (১২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্দর দীঘিরপাড় এলাকার রফিকুল ইসলাম ওরফে হাসান মিয়ার ৫তলা ভবনের নীচ তলার সেপটিক ট্যাংক শুক্রবার ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে পাশের একটি ভবন ও একটি টিনশেড বাড়িতে সম্পূর্ণ ধসে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে দু’টি লাশ উদ্ধার এবং আহত অবস্থায় ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করলে পথেই গর্ভবতী লাবনীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় অহিদ মিয়া জানান, প্রায় তিন মাস আগে বাড়ির মালিক হাসান মিয়া সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা বন্ধ করে দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় এলাকার কয়েকজন মিলে তাকে ঢাকনা বন্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তখন বন্ধ না করলে আজ এ দুর্ঘটনা ঘটতো না।
তিনি বলেন, হাসান মিয়ার ভুলের কারণে পাশে থাকা রতন মিয়ার ৪তলা ভবন ও পারুলের টিনশেড বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার। তিনি ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি বাড়িসহ পাশের আরও দু’টি বাড়ি সিলগালা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ৫তলা বাড়ীর মালিক হাসান মিয়া তিন মাস আগে তার বাড়ীর সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা বন্ধ করায় গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি।
-এএ