আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গোটা বিশ্বেই যে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি ও বিপর্যস্ত অবস্থা চলছে, এতে আমরা সকলেই এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি। আমরা কেউই জানি না, কবে এই সংকট দূর হবে, আবার স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায় ফিরে যেতে পারবো! গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এখন সবাই করোনা প্রসঙ্গেই সরব। সংবাদ, মতামত, বিশ্লেষণ ও পরিসংখ্যান, ইত্যাদি সবকিছু যেন এখন করোনা নিয়েই। এগুলো নিয়ে মানুষজনের আগ্রহ ও কৌতূহলেরও কমতি নেই। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ঘরে বন্দী মানুষজনের সময়ের বিপুল অংশ হরণ করে নিচ্ছে এই করোনা ভাইরাস নিয়ে আড্ডা-গল্প, আলোচনা-পর্যালোচনা। মোবাইল, টেলিভিশনের সামনে বসে থেকেই মানুষ দিনের দীর্ঘ সময় পার করে দিচ্ছে। অথচ এই দুর্যোগকালে আমাদের সময়টা কীভাবে কাটানো উচিত, এই বিষয়ে কারো যেন কোনো চিন্তাই নেই।
আমরা দেখেছি, বড় বড় ক্ষমতাধর ও উন্নত দেশগুলো এই ক্ষুদ্র, যাকে খোলা চোখে দেখা যায় না পর্যন্ত, এই করোনা ভাইরাসের কাছে তারা কীভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন আমাদের আল্লাহর আশ্রয় ছাড়া আর কোথাও কি কোনো ঠিকানা আছে? আমাদের করণীয় হলো, আমরা এখন ঘরে থাকার সময়টাতে সবরকম উদাসীনতা বর্জন করি, অহেতুক কাজ থেকে বিরত থাকি, অযথা সময় নষ্ট না করি। এই অবসরের সময়টাতে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা, আল্লাহর সমীপে নিজেকে সমর্পণ করার বিষয়ে সাধ্যমতো সচেষ্ট হই। এখনই সময় সংশোধনের। এখনই সময় প্রত্যাবর্তনের।
করোনা ভাইরাসের বিষয়ে কত রকম বিষয়ই আমরা চর্চা করি! করোনা, এটা কী? কোত্থেকে এলো? এর লক্ষণ কী? উপসর্গ কী? এ থেকে আত্মরক্ষার উপায় কী? এর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পদ্ধতি কী? কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন, লকডাউন, ইত্যাদি নতুন নতুন শব্দ আমাদের নিয়মিত ব্যবহারে যুক্ত হয়ে গেছে। তো এসব আপন জায়গায় সীমার ভিতরে থেকে সংশ্লিষ্টদের জন্য হয়তো প্রয়োজনীয়। কিন্তু শুধু এসবের পিছনে পড়ে আমরা এই করোনা থেকে আত্মরক্ষার আরো বড় কোনো কর্ম থেকে উদাসীন হয়ে আছি না তো?
আমরা ঈমানদার হিসাবে যদি ঈমানী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তা করি তাহলে আমরা স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারবো, এই পরিস্থিতি আমাদের কৃতকর্মের কারণেই এসেছে। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, {ظَهَرَ ٱلْفَسَادُ فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِى ٱلنَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ ٱلَّذِى عَمِلُواْ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونٍَ}
‘‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে ও স্থলে নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে, আল্লাহ তাদেরকে তাদের কতক কৃতকর্মের স্বাদ গ্রহণ করাবেন সেজন্য; হয়তো এর ফলে তারা ফিরে আসবে।’’
আয়াতের অর্থ স্পষ্ট। এখানে আয়াতের শেষে لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ (হয়তো এর ফলে তারা ফিরে আসবে।) অংশটি আমাদের মনোযোগের দাবী রাখে। অর্থাৎ এই বিপদ-দুর্যোগ আসেই এই জন্য যে আমরা জন্য সংশোধন হই, আমরা যেন আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করি।
সংশোধন ও প্রত্যাবর্তনের কুরআন-নির্দেশিত পন্থা হলো, ইস্তেগফার। নিজের কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য আল্লাহর দরবারে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা। বস্তুত ইস্তিগফারই হতে পারে আমাদের এই দুর্যোগের সময় সুরক্ষার উপায়। এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, {وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونٍَ} ‘‘আর আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন তাদের ইস্তিগফাররত অবস্থায়।’’ (সূরা আনফাল, ৩৩)
এই জন্যই পূবর্বর্তী নবীগণ তাঁদের কওমকে সংশোধন ও প্রত্যাবর্তনের দাওয়াত দিয়েছেন ইস্তেগফারের আহ্বানের মধ্য দিয়ে। সাইয়িদুনা হযরত নূহ আ. সুদীর্ঘকাল তাঁর কওমকে হিদায়াতের পথে, ন্যায় ও সত্যের পথে দাওয়াত দিয়েছেন। তাঁর কওম শুধু অস্বীকার আর প্রত্যাখ্যান করতে থেকেছে। কওম যখন অনাবৃষ্টির কারণে হাহাকার করতে লাগলো তখন তিনি তাদেরকে ইস্তিগফারের দাওয়াত দিয়েছিলেন।
কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, {فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا * يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا * وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا}
‘‘আমি তাদেরকে বলেছি, আপন প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চিত জেনো, তিনি অতি ক্ষমাশীল। (তাহলে) তিনি আকাশ থেকে তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে প্রবৃদ্ধি দান করবেন। এবং তোমাদের জন্য সৃষ্টি করবেন উদ্যানরাজি, আর ব্যবস্থা করে দেবেন তোমাদের জন্য নদ-নদীর।’’ (সূরা নূহ, ১০-১২)
এই আয়াতে স্পষ্ট, ইস্তেগফার করলে আল্লাহ তাদের অনাবৃষ্টি, যেটা তাদের জন্য ছিলো আকাল-দুর্ভিক্ষ - দূর করে মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। অন্যান্য অনেক নেয়ামতে তাদেরকে ভরে দেবেন। এই একই বিষয় আমরা সাইয়িদুনা হযরত হুদ আ. এর দাওয়াতেও পাই। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, {وَيَٰقَوْمِ ٱسْتَغْفِرُواْ رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوٓاْ إِلَيْهِ يُرْسِلِ ٱلسَّمَآءَ عَلَيْكُم مِّدْرَارًا وَيَزِدْكُمْ قُوَّةً إِلَىٰ قُوَّتِكُمْ وَلَا تَتَوَلَّوْاْ مُجْرِمِينٍَ}
‘‘আর হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁরই দিকে ফিরে এসো। তিনি তোমাদের প্রতি আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের বিদ্যমান শক্তির সাথে বাড়তি আরো শক্তি যোগাবেন। আর তোমরা অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না।’’ (সূরা হুদ, ৫২)
এখানে وَيَزِدْكُمْ قُوَّةً إِلَىٰ قُوَّتِكُمْ (এবং তোমাদের বিদ্যমান শক্তির সাথে বাড়তি আরো শক্তি যোগাবেন।) অংশটি অনন্য। আমরা হয়তো মনে করি, আমরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আবিষ্কার, উদ্ভাবনের একবিংশ শতাব্দীর মানুষ। কিন্তু আমাদের অসাহায়ত্ব তো এখন আমাদের সবারই চোখের সামনে। এই আয়াত থেকে আমরা পাই, ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের বিদ্যমান শক্তি, আবিষ্কার-উদ্ভাবনের শক্তি আরো অনেক বাড়িয়ে দেবেন। আল্লাহর শান মোতাবেক বাড়িয়ে দেবেন।
আয়াতের শেষ অংশে আছে, وَلَا تَتَوَلَّوْاْ مُجْرِمِينَ (আর তোমরা অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না।) অর্থাৎ এরপরও তোমরা যদি আমার দাওয়াত কবুল না করো, আমাকে প্রত্যাখ্যান করো, এরপরও তোমরা যদি ইস্তেগফার না করো, নিজেদের অন্যায়-অপরাধের বিষয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করো তাহলে তোমরা হবে সাংঘাতিক পর্যায়ের অপরাধী। সেটা তোমরা হয়ো না।
এরপরে আমরা সবাই জানি, নূহ আ. এর কওম, হুদ আ. আর কওম তাঁদের নবীর দাওয়াত কবুল করেনি, একপর্যায়ে আল্লাহ পাক আযাব দিয়ে তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। সাইয়িদুনা শোয়াইব আ. তাঁর কাওমকে নূহ আ. এর কওম, হুদ আ. এর কওম, এবং অন্যান্য কওমের আযাবের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদেরকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিয়েছেন, ন্যায় ও ইনসাফের দিকে আহ্বান করেছেন।
এরপরে তিনি বিশেষভাবে বলছেন, {وَاسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ إِنَّ رَبِّي رَحِيمٌ وَدُودٌٍ} ‘‘আর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তারপর তাঁরই দিকে ফিরে এসো। নিশ্চয় আমার প্রতিপালক পরম দয়াময়, অসীম প্রেমময়।’’ (সূরা হুদ, ৯০)
এই আয়াত থেকে আমরা পাই, ইস্তেগফার এবং তাওবা আল্লাহর রহম, করম ও মমতাকে আকর্ষণ করে। অন্য এক আয়াতে পরিষ্কার এসেছে, {لَوْلا تَسْتَغْفِرُونَ اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونٍَ} ‘‘তোমরা কেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছো না; যাতে তোমাদের প্রতি রহম করা হয়।’’ (সূরা নামল, ৪৬)
আরেক আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পরিষ্কারভাবে ইস্তেগফারের নির্দেশ করেছেন এবং পার্থিব জীবনেই এর অসামান্য ফল ও কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করেছেন। তেমনিভাবে ইস্তেগফার না করার বিষয়ে কঠিন হুঁশিয়ারিও দান করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, {وَأَنِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ يُمَتِّعْكُم مَّتَاعًا حَسَنًا إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى وَيُؤْتِ كُلَّ ذِي فَضْلٍ فَضْلَهُ ۖ وَإِن تَوَلَّوْا فَإِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ كَبِيرٍ}
‘‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁরই দিকে ফিরে এসো। তিনি তোমাদেরকে এক নির্ধারিত কাল (তথা মৃত্যু) পর্যন্ত উত্তম জীবন উপভোগ করতে দেবেন এবং যে কেউ বেশি আমল করবে তাকে নিজের পক্ষ থেকে বেশি প্রতিদান দেবেন।আর তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমি তোমাদের জন্য এক মহা দিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি। আল্লাহরই কাছে তোমাদের ফিরে যেতে হবে এবং তিনি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান।’’ (সূরা হুদ, ৩-৪)
হাদীস শরীফেও রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বিষয়ে অত্যন্ত তাকীদ করেছেন। নিজে আমলের মাধ্যমে উম্মতকে তা শিক্ষা দিয়েছেন। এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার অবকাশ নেই। শুধু একটি হাদীস উল্লেখ করছি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, وعنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضِي اللَّه عنْهُما قَال: قالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: منْ لَزِم الاسْتِغْفَار، جَعَلَ اللَّه لَهُ مِنْ كُلِّ ضِيقٍ مخْرجًا، ومنْ كُلِّ هَمٍّ فَرجًا، وَرَزَقَهُ مِنْ حيْثُ لاَ يَحْتَسِبْ.
‘‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তার জন্য সকল সংকটে সমাধান বের করে দেবেন, সকল দুশ্চিন্তা থেকে প্রশান্তি দিয়ে দেবেন। আর তাকে এমনভাবে রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।’’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৫২০)
হাদীস শরীফের পরিষ্কার নির্দেশনা, বিপদে-সংকটে ইস্তেগফারই হবে আমাদের সুরক্ষার উপায়। তো ইস্তেগফারের পদ্ধতি কী? সবচেয়ে সহজ ও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি তো হলো, অন্তর থেকে বেশি বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থানা করছি) বলা। আল্লাহ, আমাকে মাফ করে দাও।
এছাড়াও হাদীস শরীফে ইস্তেগফারের আরো অনেক বাক্য বর্ণিত হয়েছে। যেমন, أَسْتَغْفِرُ اللَّه الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُو الحيَّ الْقَيُّومَ وأَتُوبُ إِلَيهِ
আরেকটি বাক্য, যা মূলত কুরআন মাজীদের একটি আয়াত। এটা সাধরণত সবাই জানে। সেটা ইস্তেগফারের ক্ষেত্রে অনেক সুন্দর ও উপযোগী। আবার এটা বিপদ থেকে মুক্তির ব্যাপারে অনেকের কাছে পরীক্ষিতও বটে। তা হলো, {لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ} ‘‘(আল্লাহ!) তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তুমি চিরপবিত্র। নিশ্চয়ই আমি একজন অপরাধী।’’
এই দোয়ার মধ্যে তাওহীদ আছে, তাসবীহ আছে, তাওবা ও ইস্তেগফার আছে। দোয়াটি নিজের গুনাহ স্মরণ করে, নিজেকে অপরাধী মনে করে যত বেশি পড়া যায় তত কল্যাণকর। আমরা সবাই জানি, এই দোয়ার বদৌলতে আল্লাহ পাক হযরত ইউনুস আ.কে বিপদ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। এরপরের আয়াতে আল্লাহর ওয়াদা আছে, وَكَذَٰلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ (এভাবেই আমি ঈমানদেরকে মুক্তি দেবো।)
অবশেষে একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। তাওবা, ইস্তেগফার, নেক আমল ইত্যাদির প্রসঙ্গ আসলেই আমাদের অনেকের বা কারো কারো ধারণা হলো, ‘এগুলো তো আলেম-উলামাদের কাজ অথবা সমাজের দ্বীনদার দাড়িওয়ালাদের কাজ। আমরা এগুলো কীভাবে করবো?’ একরকম মানসিকতা অনেকের মধ্যে আছে। কোনো সন্দেহ নেই যে, এটা অত্যন্ত গোমরাহীর কথা। ভয়াবহ মূর্খতার কথা। আবার আল্লাহর নারাযী ও ক্রোধ ডেকে আনার কারণ। আমাদের সর্বস্তরের সকল মুলমানের জন্যই এই বিষয়গুলো অতীব জরুরী। প্রত্যেকেরই করণীয় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংশোধনের পথে, নেক আমলের পথে অগ্রসর হওয়া। তাওবা ও ইস্তিগফারে মনোনিবেশ করা।
আল্লাহ যেন আমাদেরকে ভরপুর আমলের তাওফীক দান করুন। আমাদেরকে দ্রুততম সময়ে এই দুর্দশা থেকে উদ্ধার করুন। এই সময়টুকুর মধ্যে আমাদেরকে আল্লাহর নেক বান্দা বানিয়ে দেন। আমীন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, জামিআ দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শায়খুল হাদীস, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ওআই/আব্দুল্লাহ আফফান