বেলায়েত হুসাইন ।।
আজব পর্বত নূরুল কুরআন পাকিস্তানের কোয়েটায় অবস্থিত। এই পর্বতে রয়েছে আরও আজব এক গুহা। ৯ লাখেরও বেশি কুরআনে কারীমের প্রাচীন পান্ডুলিপির বিরাট এক সংগ্রহশালা এটি। কোয়েটার স্থানীয় লোকজন প্রায় ত্রিশ বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে বিশাল এই সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছেন।
তবে মহান এই কাজের সূচনা করেছিলেন হাজি নূরুল্লাহ নামক একজন স্থানীয় দানবীর । ১৯৯২ সালে একাই তিনি প্রাচীন কুরআনের পান্ডুলিপি সংগ্রহ করতে বের হন। কিন্তু অল্প দিনেই কাছের মানুষদের শুভদৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। তার অন্তরঙ্গ কিছু বন্ধু তার সঙ্গে মহৎ এই কাজে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি তাদেরকে কুরআন সংগ্রহের কাজে শরিক করে নেন।
অতঃপর তারা বন্ধুরা মিলে নূরুল কুরআন পর্বতের একটি গুহাকে নির্বাচন করেন এবং বিশ্বের নানাপ্রান্ত থেকে প্রাচীন কুরআনের কপি এনে এখানেই সংগ্রহ করতে থাকেন ।পর্বতটির এই গুহাটিকে মনে হয় যেন পুরাতন কুরআনের আঁতুড়ঘর! কুরআনের গুহা গড়ে তুলতে হাজি নূরুল্লাহর ছোট ভাইয়েরও অবদান ছিল যথেষ্ট; দূরদূরান্ত থেকে কুরআন সংগ্রহে বড় ভাইকে সমর্থন যুগিয়েছেন ছোট ভাই।
বিরাট এই সংগ্রহশালায় থাকা কুরআনের কোন কপি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকেও যথেষ্ট মনোযোগ আছে কর্তৃপক্ষের। নানাপ্রান্ত থেকে সংগ্রহকৃত কপিগুলো মূল্যবান কাচ-পাত্রে রেখে সেগুলো শিশা দ্বারা আটাকে রাখা হয়েছে।
এখানে কাজ করা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নূরুল কুরআন পর্বতের এই গুহায় ৪ শ’ বছর আগেরও কুরআনের একাধিক দুর্লভ কপি সংরক্ষিত আছে। রাসুল সা. এর ওপর ওহী অবতীর্ণ হওয়া জাবালে নূরের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে পাকিস্তানের এই পর্বতের নাম দেয়া হয়েছে জাবালে নূরুল কুরআন বা নূরুল কুরআন পর্বত।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, কোয়েটার এই পর্বতে কুরআনের প্রাচীন নুসখা (কপি) এক নজর দেখতে প্রতিদিন ভীড় জমায় শত শত কুরআনপ্রেমী মানুষ। আর পবিত্র রমজান মাসে নূরুল কুরআন পর্বতের এই গুহায় কুরআন প্রেমীদের ঢল নামে ।- ডেইলি জং অবলম্বনে।
আরএম/