আওয়ার ইসলাম: কিডনি কেনাবেচা করা যাবে না। তবে মানবিক বিবেচনায় ও সহানুভূতিশীল যে কেউ কিডনি দিতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সাড়ে চার বছর আগে করা এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালত বলেন, অর্থের বিনিময়ে রোগীকে কিডনি দিতে পারবে না। পাশাপাশি মাদকাসক্ত ব্যক্তিও কিডনি দিতে পারবেন না। তবে মানবিক বিবেচনায় ও সহানুভূতিশীল যে কোনো ব্যক্তি কাউকে কিডনি দিতে চাইলে তিনি তা পারবেন।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার নীলিমা ইয়াসমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ। এর আগে ৭ নভেম্বর কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ে সাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কমিটি আদালতে মতামত দাখিল করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রো-ভিসি ও বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা.মুহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটিতে ছিলেন কিডনি ফাউন্ডেশনের চিফ কনসাল্ট্যান্ট অধ্যাপক ডা. হারুন-উর-রশিদ।
বিএসএমএমইউর নেপ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.আসিয়া খানম, বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশীদুল আলম, বারডেম হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মির্জা এম এইচ ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম এবং জাতীয় কিডনি ডিজিস ও ইউরোলজি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল হুদা।
তারা বলেছেন, আত্মীয় নন, এমন কারও কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন নেই। আইনের বাইরে অন্য কারও কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হলে দেশের দরিদ্র মানুষের জীবন সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ধনীরা বাণিজ্যিকভাবে এর ব্যবহার করবে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচারের মাত্রা বাড়বে বলে অভিমত দেয় এ বিশেষজ্ঞ কমিটি।
তবে সাত সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন বিষয়ে দেশের বর্তমান আইন সংশোধন হওয়া প্রয়োজন।
এই আইনে নিকটাত্মীয় ছাড়া অন্য কারও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করার সুযোগ নেই। তাই একজন সুস্থ মানুষ চাইলে অন্য কাউকে তার অঙ্গ দান করতে পারেন, এমন আইন থাকা দরকার।
-এটি