আওয়ার ইসলাম: নিম্ন আদালতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও হলি আর্টিসান মামলায় দণ্ডিত দুই আসামির মাথায় আইএসের চিহ্ন সম্বলিত টুপি কীভাবে এল তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক মামলার শুনানিতে পত্রিকার প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এ সময় আদালত বলেন, আইএসের টুপি নিয়ে পত্রিকায় দেখলাম- পুলিশ বলছে তারা এ বিষয়ে জানে না। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে টুপি কারাগার থেকে যায়নি! তাহলে টুপি দিল কে? আইএসের টুপি ফেরেশতা দিল নাকি শয়তান দিল?
বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় গত বুধবার। মামলার রায়ে সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
এর আগে তাদেরকে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কারাগার থেকে আদালতে নেয়া হয়। পরে আদালতের হাজতখানা থেকে দুপুর ১২টার দিকে আসামিদের আদালতে তোলা হয়।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মাথায় তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যদের ব্যবহৃত টুপির মতো টুপি পরা দেখা যায়। যা নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রিগ্যানের কাছে এই ধরনের টুপি কীভাবে আসলো বা কারা এটি সরবরাহ করলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হলি আর্টিজানের মতো একটি স্পর্শকাতর মামলার আসামি যিনি দীর্ঘদিন কারাবন্দি আছেন, তিনি কীভাবে এমন একটি টুপি আজ পরতে পারলেন। কীভাবে তার কাছে এই টুপি আসলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
পুলিশ বলছে, জঙ্গি রাকিবুল হাসানই (রিগ্যান) টুপিটি কারাগার থেকে এনেছিলেন। তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগার থেকে টুপি যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে টুপি এসেছে কোথা থেকে। আর টুপি পরা দেখার পরও কেন পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরএম/