শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


গ্যাস লাইনে লিকেজের কারণেই পাথরঘাটার বিস্ফোরণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সরবরাহ লাইনে লিকেজ বা ছিদ্রের কারণে গ্যাস আবদ্ধ হয়ে পাথরঘাটায় বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।

রোববার জেলা প্রশাসক মুহা. ইলিয়াস হোসেনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তরের পর সাংবাদিকদের এসব বিষয় জানান তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এজেডএম শরীফুল ইসলাম।

এজেডএম শরীফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর আমরা বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছি। বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে আজকে একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেছি। মূলত গ্যাস থেকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিল। সেই লিকেজের কারণে নিচতলার বাসায় গ্যাস বের হয়ে ঘরে আবদ্ধ হয়ে যায়। ম্যাচের কাঠি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়।

তিনি বলেন, আমরা গ্যাসের রাইজারটি পরীক্ষা করেছি। সেটিতে অনেক পুরনো ট্যাপ মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। রাইজারের ওপরের আবরণটিও ছিল অনেক পাতলা। রাইজারটির ভেতরের অংশ ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া গেছে। রাইজার থেকে গ্যাসের যে সার্ভিস লাইনটি ঘরের ভেতরে গেছে, সেটাতে মূলত লিকেজ ছিল। সেখান থেকেই গ্যাস বের হয়। গ্যাসের রাইজারটি আগে মুক্ত অবস্থায় ছিল।

‘বাড়ির মালিক নকশা অমান্য করে সীমানা দেয়ালের সঙ্গে লাগোয়া ২ থেকে আড়াই ফুট উঁচু ছাদ দিয়ে একটি বারান্দা তৈরি করেন। ঘরটিতে সামনে ২টি কক্ষ এবং পেছনে আরেকটি কক্ষ ছিল। এরপর ২০ ফুট বাই ৫ ফুট একটি শূন্যস্থান ছিল যেখানে রাইজারটি ছিল। বারান্দা তৈরির পর সেটি আবদ্ধ হয়ে পড়ে। রাইজারটি এবং সংলগ্ন গ্যাসের লাইনের সঙ্গে আলো-বাতাসের সংযোগ ছিল না। নির্গত গ্যাস বের হতে না পেরে সেখানে জমে যায়।’ যোগ করেন এজেডএম শরীফুল ইসলাম।

তদন্ত প্রতিবেদনে পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান এজেডএম শরীফুল ইসলাম। সুপারিশগুলো হলো- ভবন মালিকদের বিল্ডিং কোড মানতে বাধ্য করা, সিডিএর অনুমোদিত ভবন পরিদর্শন ও নকশা বহির্ভূত ভবন দ্রুত অপসারণ, ব্যানার-লিফলেটের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কেজিডিসিএলর গ্যাস লাইন ও রাইজার নিয়মিত পরীক্ষা করা এবং গ্যাস সংক্রান্ত সমস্যার জন্য হটলাইন চালু করা।

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর সকালে কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডে বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে মারা যায় সাতজন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কেজিডিসিএলর তদন্ত কমিটি গ্যাস লাইনে কোনো ত্রুটি পাননি বলে দাবি করেছিলেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ