আওয়ার ইসলাম: এশিয়ার সবচেয়ে বড় আর্থিক কেন্দ্রটির নির্বাহী নেতা ক্যারি লাম সোমবার টোকিওর সম্রাট নারিহিতোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে ওই মসজিদটি পরিদর্শন করেন এবং ধর্মীয় নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে তার মুখপাত্র জানিয়েছেন।
হংকংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি এলাকা কাউলুন ডিস্ট্রিক্টে ব্যাপক বিক্ষোভের সময় মসজিদটির সামনের গেটে কয়েকজন ধর্মীয় নেতা ও সাংবাদিকদের সমাবেশকে লক্ষ্য করে নীল পানি ছোঁড়ে পুলিশ। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে টানা বিক্ষোভের মধ্যে এটি ছিলো সবচেয়ে মারাত্মক। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে টিয়ার গ্যাসও ছোঁড়ে। বিবিসি, স্টার অনলাইন
এ ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে ক্যারি লামের শরীরে শাল জড়িয়ে ওই মসজিদে এসে মসজিদের ইমাম মোহাম্মাদ আরশাদ বলেছেন, লামকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে এবং ইসলামী সম্প্রদায় শান্তিতে হংকংয়ে বসবাস করতে পারে সেই প্রত্যাশা করেছেন। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মসজিদে দুর্ঘটনাক্রমে স্প্র্রে করা হয়েছে এবং তারা ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ধর্মীয় স্থাপনাগুলো সুরক্ষা করবে।
গত শনিবার এক বিক্ষোভকারীকে ছুরি দিয়ে আহত করার প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভকারীরা। নিষিদ্ধ মুখোশ পরে কাউলুন ডিস্টিক্টে বিক্ষোভকারীদের ‘নিনজা’ দলটি সড়ক অবরোধ করে, কয়েকটি দোকানে ভাংচুর চালায় এবং মেট্রো স্টেশনে হামলা করলে দুটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার জন্য সড়কে অবস্থান নেয় এবং বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান থেকে নীল রংয়ের পানি ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। অল্প বয়স্ক ছাত্র থেকে শুরু করে প্রবীণদের মধ্যে অনেককেই রাস্তায় পুলিশের নজরদারি করা ক্যামেরা থেকে নিজেদের মুখ ঢাকার জন্য ছাতা ব্যবহার করে আন্দোলন করে।
চীনে প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে কয়েকমাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছে বিক্ষোভকারীরা। ওই বিলে চীনের কাছে অপরাধীকে প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছিলো। প্রথমদিকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হলেও পরে তা সহিংস আকার ধারণ করে।
আরএম/