আওয়ার ইসলাম:আগস্টের শুরু থেকে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ৪ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দেশটির সরকারি নথি থেকে জানা গেছে।
শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে গ্রেপ্তারের সরকারি এই নথি অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বড় ধরনের অভিযান নিশ্চিত করে।
৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় ভারত সরকার। তার আগের দিন থেকে কঠোর সামরিক পরিস্থিতি জারি করে এই গণগ্রেপ্তার অভিযান চলে অঞ্চলটিতে।
৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদনটি সূত্রে জানা যায়, জম্মু-কাশ্মীরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৮০০ এরও বেশি মানুষ। যার মধ্যে ২৬০০ জনকে পরবর্তীতে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীরের ১৩ জেলা পুলিশের পাঠানো তথ্যে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। উপত্যকার রাজধানী শ্রীনগর থেকেই বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে গ্রেপ্তার হয় এক হাজারেরও অধিক মানুষ।
তবে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। এমনকি জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
কোন আইনে কাশ্মীরে এই গণগ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয় সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। তবে একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, জন নিরাপত্তা আইনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই আইনের অধীনে কাউকে বিনা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে দেশটি।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ ২০০ জনেরও অধিক রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। যার মধ্যে আছে স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর একটি মোর্চার একশ'রও বেশি নেতা-কর্মী।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে অঞ্চলটিতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর এবারের অভিযানকে ‘নজিরবিহীন’ এবং ‘একেবারেই আলাদা’ বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার প্রধান আকার প্যাটেল বলেন, “অঞ্চলটি সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ, নিরাপত্তা কড়াকড়ি ও দমন, রাজনৈতিক নেতাদের আটকে রাখার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে।”