আওয়ার ইসলাম: দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি চিঠি দিলেও বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজেকে বিরোধীদলীয় নেতা করার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে স্পিকারকে চিঠি দেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের। দলীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদসহ পাঁচ সংসদ সদস্য ওই চিঠি স্পিকারের দফতরে পৌঁছে দেন।
ওই চিঠি গ্রহণ না করার অনুরোধ জানিয়ে স্পিকারকে পাল্টা চিঠি দেন রওশন এরশাদ। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রওশন এরশাদের চিঠিটি স্পিকারের হাতে পৌঁছে দেন দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। যে চিঠিতে, স্পিকারের কাছে জিএম কাদেরের চিঠি দেয়ার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
স্পিকারকে চিঠি লেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এর আগে স্পিকারকে একতরফাভাবে চিঠি লেখা হয়েছে। কারণ বিরোধী দলীয় নেতা কে হবেন, সে বিষয়ে দলের সংসদ সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিবেন। কিন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বিরোধী দলীয় নেতার প্রস্তাব করে স্পিকারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সে বিষয়ে আপত্তির কথা স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
রওশনের চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুহা. ফখরুল ইমাম বলেন, ম্যাডাম (রওশন) স্পিকারকে সম্বোধন করে লিখেছেন, আপনি আমাকে বিরোধীদলীয় উপনেতা বানিয়েছেন। আমাদের নেতা মারা যাওয়ার পর, সংসদ সদস্যরা আমাকে নেতার কাজ চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব দেন। কিন্তু শুনতে পেলাম, একজন নিজেকে পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা করার জন্য আপনাকে চিঠি দিয়েছেন। আপনাকে জানাতে চাই, নেতা নির্বাচন করার এখতিয়ার পার্লামেন্টারি পার্টি সংরক্ষণ করে। যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে পার্লামেন্টারি পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে। তাই ৩ সেপ্টেম্বর পাঠানো চিঠিকে ইগনোর করার অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে জানাতে চাই, উনি (কাদের) পার্টির চেয়ারম্যান নন, উনি হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তবে বিরোধীদলীয় নেতা করার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পাল্টাপাল্টি চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি মালদ্বীপে স্পিকারস সামিট থেকে সবে ফিরলাম। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দুটি চিঠি পাঠানোর কথা শুনেছি। চিঠি দেখে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
-এএ