বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক দারুন্নাজাতের প্রাক্তন ছাত্র শিহাবউদ্দীনের আল আজহার থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন

রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংককে আর অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে না: অর্থমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংককে (সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী) সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো অর্থ বরাদ্দ (রিফাইন্যান্সিং) দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এসময় রাষ্ট্রায়াত্ত এ চার ব্যাংককে আগামী সাত দিনের মধ্যে কর্মকৌশল জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে আলোচনা শেষে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশে কার্যরত অর্ধ শতাধিক ব্যাংকের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছেন পাঁচটি; এর মধ্যে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী বাদে রয়েছে বেসিক ব্যাংক।

খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে মূলধন ঘাটতি হওয়ায় তা পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ত এই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রতিবছরই সরকারের দ্বারস্ত হয় এবং সরকারও তাদের চাহিদা মিটিয়ে আসছে।

অর্থ বিভাগের এক তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত মূলধন পুনর্ভরণ, সুদ ও ভর্তুকিসহ নানা উপায়ে সরকার এই ব্যাংকগুলোকে ১২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা দিয়েছে।

গত অর্থবছর থেকে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে পুনঃঅর্থায়নে রাশ টানতে থাকে। বৈঠকের পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে সরকারি ব্যাংকগুলোতে আর কোনো ধরনের রি-ফাইন্যান্সিং করা হবে না। তাদের নিজেদেরই আয় করতে হবে এবং সরকারকে ট্যাক্সও দিতে হবে।

এই ব্যাংকগুলোকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে কর্মপরিকল্পনা তৈরির পরামর্শ দিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, আমি তাদের বলেছি, এ বিষয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে। ওই কর্মপরিকল্পনার উপর আগামী রোববার আবার তাদের নিয়ে বৈঠকে বসব। আগামী বৈঠকে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে।

অর্থ না দিলেও পরামর্শ দেওয়াসহ অন্য সহযোগিতা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো পাবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী।

রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের যে সম্পদ আছে, তার সুষ্ঠু ব্যবহার করে অন্তত ১৫ শতাংশ লাভ করুক, এটা চায় সরকার।

এই ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে নতুন নিয়োগের বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, নতুন টপ ম্যানেজমেন্ট সুস্পষ্টভাবে পারদর্শী। তারা সবাই যদি অভিজ্ঞতার আলোকে ও দেশের চাহিদার নিরীখে এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংক পরিচালনা করে, তাহলে অসাধারণ কিছু প্রত্যাশা করা যায়।

ব্যাংকগুলোর মন্দ ঋণ (এনপিএল) কমানোর প্রতিশ্রুতির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মন্দ ঋণ এখনও কমাতে পারি নাই। কারণ আমরা এক্সিটপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারি নাই। তবে শিগগির এটির সুরাহা হবে বলে আমার বিশ্বাস।

গত ২১ মে হাই কোর্টে ঋণ খেলাপীদের বিশেষ সুবিধার উপর স্থিতাবস্থা দেয়। যদিও পরে আবার নতুন ঋণ না নেওয়ার শর্তে স্থিতাবস্থা তুলে নেয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ