আওয়ার ইসলাম: কড়াকড়ির মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হুররিয়ত কনফারেন্সের নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি।
গৃহবন্দি অবস্থা থেকে এক বিবৃতিতে কাশ্মিরের জনগণের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন ৮৯ বছরের এ রাজনীতিক।
জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করা ও সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর টানা ২০ দিন ধরে উপত্যকা অবরুদ্ধ। রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে সব দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের।
অনেককে গ্রেফতার করে রাজ্যের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনো দলকে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে দেওয়া হচ্ছে না।
ওই বিবৃতিতে সৈয়দ আলী গিলানি বলেন, কাশ্মীরকে ভারত সরকার অবরুদ্ধ করে একটি জেলখানায় পরিনত করেছে। সবধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও কাশ্মীরের জনসাধারণ ভারতীয় জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে, ভারতীয় বাহিনীর গুলির মুখেও কাশ্মীরি জনগণ প্রতিবাদ করছে।
কাশ্মীরের খবর প্রচারে গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দেয়ার বিষয়টিকে ভারত সরকারের কাপুরুষোচিত আচরণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের কাছে আমাদের আন্তরিক আবেদন, এই সংকটময় মুহুর্তে আমাদের অবশ্যই প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে হবে। সাধ্য অনুযায়ী, আমাদের সবারই এই প্রতিরোধে অংশ নেয়া উচিত।
নিজ নিজ এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ চালিয়ে নিতে কাশ্মীরি জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই ভাগ করে ফেলার পর থেকেই গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন হুররিয়ত নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি।
-এটি