আওয়ার ইসলাম: নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা একটি ৬ তলা ভবনের আংশিক অংশ, জয়া এপারেলস, স্ক্যান সিমেন্ট, ডেল্টা ডকইয়ার্ড, সোনালী পেপার মিলস, রহমান কেমিকেলসের আংশিক অংশ সহ অর্ধশত কাঁচা পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া নদী ভরাট করায় অ্যাসকোয়ার গার্মেন্টসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও জয়া এপারেলস নামের গার্মেন্টসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে শীতলক্ষ্যায় তৃতীয় দফায় তৃতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত হয়।
বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের তত্ত্বাবধানে আরও উপস্থিত ছিলেন- উপ পরিচালক মুহা. শহিদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময় একটি জাহাজ, একটি ভেকু, একটি টাগ বোটসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার সদস্য ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, অনেকেই গুলশান বনানীতে থাকেন অথচ নদীর তীরে জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করে নাম দেন নদী বিলাশ। শীতলক্ষ্যা মেঘনা ধলেশ্বরীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি শীত মৌসুমের পূর্বে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরে নদীর তীর রক্ষায় সীমানা পিলার, ওয়াক ওয়ে বনায়নের মাধ্যমে নদীর তীরে বসন্তের আবহাওয়া ফিরিয়ে আনা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদীর তীর দখল ও ভরাটকারীর কখনোই মানতে চান না। তারা বলেন, ভূমি অফিস থেকে তাদেরকে জমি মেপে বুঝিয়ে দিয়েছে। এ কারণে অনেক সময় উচ্ছেদ অভিযানে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেয়। তবে দখলদাররা যতই বলুক না কেন নদী দখলের বিষয়টি দৃশ্যমান। নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে।
-এএ