বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক দারুন্নাজাতের প্রাক্তন ছাত্র শিহাবউদ্দীনের আল আজহার থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন

আজানের সময় যে আমল করা সবার জন্য জরুরি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আজান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুরধ্বনি। মুয়াজ্জিন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজান দেয়। মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে আজান মহান আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা। আজান নামাজের জন্য ডাক দিয়ে যায়। মুয়াজ্জিন যখন আযান দেয়, তখন সবার জন্য ৪টি আমল করা জরুরি।

১. আজানের জবাব দেয়া। মুয়াজ্জিন যে শব্দগুলো বলেন, তা হুবহু উচ্চারণ করা। তবে হাইয়া আলাস সালাহ এবং হাইয়া আলাল ফালাহ বলার পর লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলতে হবে।

হাদিসে এসেছে- হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা যখন আজান শুনবে, তখন মুয়াজ্জিন যা বলবে, তোমরাও তাই বলো। (বুখারি)

অন্য হাদিসে এসেছে- হজরত মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ এবং ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার পর ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলতে হবে। (বুখারি)

২. আজান শেষে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ পড়া।

হাদিসে এসেছে- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুয়াজ্জিনের আজান শুনে তোমরা হুবহু শব্দগুলো বলো। এরপর আমার ওপর দরূদ পাঠ করো। যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশটি রহমত বর্ষণ করবেন। (মুসলিম)

৩. তাওহিদ ও রেসালাতের সাক্ষ্য দেয়া।

তাওহিদের সাক্ষ্য দেয়া। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং দ্বীনের প্রতি সন্তুষ্টি ঘোষণা করা। হাদিসে এসেছে- হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন; রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুয়াজ্জিনের আযান শুনে যে ব্যক্তি বলবে- أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا

উচ্চারণ: আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শারিকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু; রদিতু বিল্লাহি রব্বাও ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসুলাও ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনা।

তার জীবনের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (মুসলিম)

৪. আজানের পর দোয়া করা। কেননা আজানের পর দোয়া কবুল হয়।

হাদিসে এসেছে- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! মুয়াজ্জিন আজান দিয়ে আমাদের চেয়ে বেশি ফজিলত পেয়ে যাচ্ছে। আমরা কী করব?

রাসুলুল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমিও হুবহু মুয়াজ্জিনের মতো বলো। আজান শেষ হলে আল্লাহর কাছে (প্রার্থনা কর) চাও, তোমার দোয়া কবুল করা হবে। (আবু দাউদ)

ইসলামি বিধি-বিধান জানতে পড়ুন বেহেশতী জেওর

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ