আওয়ার ইসলাম: বিশ লাখ উইঘুর মুসলিম আটকের ঘটনার আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতি সম্প্রতি সমর্থন জানায় কয়েক ডজন দেশ। এবার তাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে কাতার। এক প্রতিবেদনে খবরটি জানায় ব্লুমবার্গ।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে উপসাগরীয় দেশটি। এর আগে ১২ জুলাই পাঠানো ওই চিঠিতে বেশির ভাগ মুসলিম সংখ্যাগুরু দেশ স্বাক্ষর করে। তবে এই নিয়ে কাতার সরকার বা জাতিসংঘের মন্তব্য চেয়েও পায়নি বলে জানায় ব্লুমবার্গ।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, তাদের কাছে কাতারের চিঠির একটি অনুলিপি আছে। সেখানে জেনেভায় জাতিসংঘে কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আলী আল-মানসুরি ১৮ জুলাই লেখেন, সমঝোতা ও মধ্যস্থতার বিষয়ে এখন দেশটির মনোযোগ। তাদের বিশ্বাস ওই চিঠির উল্লেখিত বিষয় তাদের বৈদেশিক নীতির মূল অগ্রাধিকারগুলোর প্রতি আপস করে। এই ক্ষেত্রে কাতার নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে চায় বলেও উল্লেখ করা হয়।
তবে এটা স্পষ্ট নয় যে, কী কারণে কাতারের অবস্থানে পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম তরল প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে চীনের। ২০১৮ সালে চীন ছিল কাতারের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। তাদের বাণিজ্যের পরিমাণ ১৩শ’ কোটি ডলার।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি জানুয়ারিতে বেইজিং সফর করেন। ওই সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘পুরোনো ও ভালো বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাধার মুখে ইউরোপীয় দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বেশি জোর দিচ্ছে কাতার।
সৌদি আরব, পাকিস্তানসহ ৩৭টি দেশ শি সরকারের পক্ষে অবস্থান নেয় সম্প্রতি। যদিও ২২টির মতো পশ্চিমা দেশ উইঘুরদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে চীনের বিপক্ষে রয়েছে। তারা গণ-বন্দিদশার বিরোধিতা করে নজরদারি ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অবহিত করে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন বরাবর ৮ জুলাই বিবৃতি দেয়।
আরএম/