আওয়ার ইসলাম: টেকনাফের স্থানীয় যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় শতাধিক বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা একটি রোহিঙ্গা শিবিরে হামলা চালিয়ে অস্থায়ী ঘরবাড়ি ও এনজিও অফিসগুলোতে ভাঙচুর চালিয়েছে।
শুক্রবার তারা টায়ার এবং প্লাস্টিকের বক্স জ্বালিয়ে টেকনাফ পৌরসভা থেকে লেদা পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। রোহিঙ্গা নেতা নূর মোহাম্মদের বাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা বেলা ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরায় বৃহস্পতিবার রাতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) গুলি করে হত্যা করা হয়। তার বড় ভাই ওসমান গণি অভিযোগ করেন, একদল রোহিঙ্গা তার ভাইকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে দুই বার উদ্যোগ নেয়া হলেও কোনো প্রত্যাবাসন এখনও হয়নি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের মতো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে যেতে রাজি না হওয়ায় এই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়।
-এএ