আওয়ার ইসলাম: কাশ্মীরের নেতারা স্থানীয় জনগণকে আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে এসে পদযাত্রায় যোগ দেয়ার ডাক দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তারা।
রয়টার্স জানিয়েছে, যৌথ প্রতিরোধের নেতৃত্ব নামক একটি গ্রুপ মঙ্গলবার রাতভর কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়েছে। সেখানে লেখা, ‘তরুণ থেকে বৃদ্ধ, নারী থেকে পুরুষ- সবাই জুমার নামাজের পর গণবিক্ষোভে যোগ দেবেন।’
পোস্টারে লোকজনকে শ্রীনগরে অবস্থিত জাতিসংঘের মিলিটারি অবজারভার গ্রুপের কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ১৯৪৯ সালে ভারত-পাকিস্তান প্রথম যুদ্ধের পর শ্রীনগরে জাতিসংঘের এ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রোধের পরপরই সেখানকার প্রায় তিন শতাধিক রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখানে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কারফিউ জারি ছিল। ল্যান্ডফোন, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এখন কারফিউ না থাকলেও সদ্য সাবেক রাজধানী শ্রীনগরে চলাচলের উপর নানা বিধি-নিষেধ রয়েছে।
এত নিরাপত্তা কড়াকড়ির মধ্যেও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ থেমে নেই। বিশেষ কয়ে শ্রীনগরের নানা জায়গায় শুরু থেকেই খণ্ডখণ্ড বিক্ষোভের খবর এসেছে নানা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
এদিকে, উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লায় বুধবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বন্দুকযুদ্ধে দুই জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
-এএ