বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দারুন্নাজাতের প্রাক্তন ছাত্র শিহাবউদ্দীনের আল আজহার থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন কাজের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার অভিনেতা আবুল হায়াতের অভিনয়ে রিলিজ হল ইসলামি সংগীত ‘মিছে দুনিয়া’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাবে পিলখানার শহীদ পরিবার সংখ্যালঘুরা এদেশে মায়ের কোলে সন্তানের মতো নিরাপদ: চরমোনাই পীর শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে নুরানী বোর্ডের ১৮তম সমাপনী পরীক্ষা ভারতকে ফ্যাসিবাদী-আধিপত্যবাদী নীতি বদলানোর আহ্বান হেফাজতে ইসলামের ইসকন নিষিদ্ধের দাবি তিন ইসলামি দলের ‘ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে’ আবারো হাসনাতকে গাড়িচাপায় ‘হত্যার চেষ্টা’

জম্মু ও কাশ্মির ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জম্মু ও কাশ্মিরের বর্তমান পরিস্থিতিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে বাংলাদেশ। আজ বুধবার জম্মু ও কাশ্মির ইস্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ মনে করে যে ভারত সরকার কর্তৃক (সংবিধানের) ৩৭০ ধারা বিলোপ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।‘

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সর্বদা নীতিগত বিষয় হিসেবে সমর্থন জানিয়েছে যে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি উন্নয়নের বিষয়টিও সব দেশের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ভারত। এর মাধ্যমে রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে ‘জম্মু ও কাশ্মির’ এবং ‘লাদাখ’ নামে বিভক্ত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিণত করে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগে সম্পদের মালিকানা ও মৌলিক অধিকারের বিষয়ে নিজেরাই নীতি প্রণয়ন করতে পারতো কাশ্মিরিরা। এমনকি রাজ্যের বাইরের কারও সেখানে জমি কেনাও নিষিদ্ধ ছিলো।

পাশাপাশি নিজেদের সংবিধান, আলাদা পতাকা ও আইন প্রণয়নের স্বাধীনতা ছিলোও তাদের। শুধু পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও যোগাযোগ ছিলো কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।

কাশ্মিরিরা মনে করছে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের মাধ্যমে হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার কাশ্মিরের বাইরের মানুষদের সেখানে জমি কেনার অধিকার দিয়ে সেখানকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যকেই পাল্টে দিতে চায়।

এদিকে ৩৭০ ধারা বাতিলের আগের দিন গত ৪ আগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মিরকে নজিরবিহীন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়। নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে কাশ্মির উপত্যকায় টেলিফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয় এবং লোকজনের অবাধ চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণারোপ করা হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ