বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


চামড়া নিয়ে উদ্ভট পরিস্থিতির কারণ জানালেন শিল্প সচিব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ন্যায্য দাম না পেয়ে লক্ষাধিক পিস পশুর চামড়া ফেলে দেন। যার অধিকাংশই মাটির নিচে চাপা দেয়া হয়। কিছু ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে।

আজ শনিবার দুপুরে সাভার চামড়া শিল্প নগরীর বিসিক কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।

ট্যানারি মালিক ও আড়ৎদারদের সঙ্গে লেনদেনের জটিলতার কারণে সারা দেশে চামড়া শিল্পে এমন উদ্ভট পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানালেন শিল্প সচিব আবদুল হালিম।

এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে ট্যানারি মালিক ও আড়ৎদার যৌথ হয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন সচিব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শতাধিক ট্যানারি মালিক ও বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহসহ অনেকেই।

শিল্প সচিব আবদুল হালিম বলেন, ব্যবসা বাকিতে হয়, নগদে হয় আবার অগ্রিম টাকা দিয়েও করতে হয়। এটা ব্যবসায়িক মডেল। দীর্ঘদিন ধরে ট্যানারি মালিক ও আড়ৎদাররা সমন্বয় করে চামড়া ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

হটাৎ তাদের মধ্যে লেনদেনের জটিলতার কারণে চামড়া শিল্পে উদ্ভট পরিস্থিতি হয়েছে। তবে ট্যানারি মালিকদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে তাদের চামড়া ক্রয় করতে হবে। তাই উভয়পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।

বিটিএ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত দুই বছরের লোকশানের কারণে ট্যানারিগুলো খুব খারাপ অবস্থায় আছে। আশা করি আগামী বছর আমাদের ব্যবসা ভালো হবে। আমরা সব দায়-দেনা পরিশোধ করে দেব।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্প কারখানা সাভারের হস্তান্তরের সময় আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ত্রুটির কারণে গত দুই বছর ধরে আড়ৎদারদের কাছে কিছু বকেয়া পড়েছে। অতিদ্রুত বকেয়া পরিশোধ করে তাদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ফিনিস্ড লেদার, লেদারগুড্স অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান মো. দিলজাহান ভূঁইয়া বলেন, সরকার কাঁচা চামড়া রফতানির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ ব্যাপারে আমরা বলতে চাই, আমাদের দেশে কোরবানির সময়সহ বছরব্যাপী যে চামড়াটা সংগ্রহ করি, সেই চামড়া দিয়ে আমাদের ট্যানারিগুলোর তিন থেকে চার মাস চলে।

তারপর সারা বছর আমরা যে চামড়াটা পাই, ওই চামড়া দিয়ে কোনো কোনো ট্যানারি ৫০ ভাগ চলে, আবার কোনো ট্যানারি ২০ ভাগ। শতভাগ চামড়া সংগ্রহ করে কোনো ট্যানারি চালাতে পারি না। যদি কাঁচা চামড়া এক্সপোর্টের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাহলে আমাদের হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ