আওয়ার ইসলাম: গোটা নীলফামারীতে কোরবানির পশুর চামড়া কেনার লোক মিলেনি। ফলে সারাদিন অপেক্ষার পর বাধ্য হয়েই চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন কোরবানিদাতারা। জেলা শহর ছাড়াও সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলাতেও একই চিত্র দেখা গেছে।
ঈদের নামাজ শেষে একক ও ভাগে গরু কোরবানি দেওয়া হয়। কেউ কেউ খাসিও কোরবানি করেন। আগে কোরবানির সঙ্গে চামড়া ক্রেতারা আসতেন, অনেক সময় অগ্রিম টাকা দিতেন। কিন্ত এবারে চিত্র একেবারে ভিন্ন। সারাদিনেও কোনো চামড়া কেনার লোক মিলেনি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলেছেন গরু ও খাসির চামড়া।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আলম হোসেন (৬০) গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবছর মাদরাসা, এতিমখানা, গরিব মানুষের মধ্যে চামড়া বিক্রির টাকা বিতরণ করা হতো। কিন্ত এবার সেই সাহায্য দেওয়া সম্ভব হবে না।
জেলার সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের হাসান ৫০ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া সৈয়দপুর আড়তে নিয়ে যান। সেখানে ৮০ টাকা দাম বলা হয়। আর বলা হয় দিলে দেন, নাহলে বাড়ি নিয়ে যান। বাধ্য হয়ে রাগে-ক্ষোভে চামড়াটি বাড়িতে নিয়ে এসে মাটিতে পুঁতে ফেলেন।
আরএম/