আওয়ার ইসলাম: ভোলা সদর উপজেলায় প্রতিবেশী আত্মীয়ের বাড়িতে মেহেদি দিয়ে হাত রাঙাতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী।
রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের চর সিফলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও অভিযুক্ত আল আমিন (২৫) ও তার সহযোগী মঞ্জুর আলমকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তার বোন রোববার রাত আটটার দিকে দুঃসম্পর্কের আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রীর কাছে মেহেদি নিয়ে হাত রাঙাতে যায়। ওই সময় আগে থেকে অপেক্ষমান মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া ভোলা আদালতের মুহুরি আল আমিন কিশোরীকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়।
এ সময় আলামিনের স্ত্রী ঘরে ছিল না। এই সুযোগে আল আমিন ও তার সহযোগী মঞ্জুরুল আলম কিশোরীর হাত-পা ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর চিৎকার শুনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মমিনুল ইসলাম জানান, নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বয়স কম হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধর্ষিতার গোপন অঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
চিকিৎসক না থাকায় সেলাই দেয়ার মতো অবস্থাও ভোলায় নেই। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হবে।
ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। ধর্ষক আল আমিন ও মঞ্জুর আলমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরএম/