বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

১৪৪ ধারা তুলে নেয়ার পর শান্ত জম্মু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জম্মু থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ১৪৪ ধারা। টানা কয়েকদিন ধরে চলা কারফিউ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জম্মুর পুর এলাকার ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের জন্য শুক্রবার নির্দেশিকা জারি করে জেলা প্রশাসক। জম্মুর পুর এলাকায় কাল থেকে খুলছে স্কুল-কলেজও। শান্ত হয়ে আসছে এলাকাগুলো।

কাশ্মিরের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল নির্দেশ দিয়েছেন যে, জম্মুতে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পর আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে কোনও কাশ্মীরিকে যেন হেনস্থা না করা হয় তা নজরে রাখার দায়িত্ব নিরাপত্তারক্ষীদের। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের কয়েকদিন আগে থেকেই উপত্যকাকে সেনা বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়।

বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করা হয়। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা সব বন্ধ করে দেয়া হয়। গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট-স্কুল-কলেজ-অফিস।

কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপত্যকা। এই ছবিটা কবে বদলাবে? এমনটাই ভাবছিল কাশ্মীরিরা। বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদির জাতির উদ্দেশে ভাষণে তেমন ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে।

গতকালই প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন যে, কাশ্মীরিদের ঈদ পালনে সহায়তা করবে প্রশাসন। দুপুরে এ বিষয়ে বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক ও অজিত ডোভাল।

পরে রাজ্যপাল বলেন, উপত্যকায় ঈদ পালন হবে। খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য বিভিন্ন এলাকার ৩শ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলতে ডেপুটি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার দেখছে যাতে ঈদ পালনে কোনও অসুবিধা না হয়। যারা কাশ্মীরের বাইরে থাকেন এবং যারা ঈদে ঘরে ফিরতে চান তাদের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব সরকারের।

এরপরেই জম্মুর বড় অংশ থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়। গতকালই প্রবাসী কাশ্মীরিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনার দফতরে দু’টি হেল্প লাইন খোলা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে আজ কয়েকশো লোকের লাইন পড়ে।

উপত্যকার একাংশের দাবি-কাশ্মীরিদের মন নয়, জমি লুট করতেই ৩৭০ তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। শ্রীনগরের একটি মসজিদের সামনে ঝুলছে হাতে লেখা পোস্টার-‘ভারতীয়দের কাছে জমি বেচবেন না, সোমবার ঈদের নমাজের পরে মিছিলে যোগ দিন।

৩২ বয়সী কাশ্মীরি যুবক তারিক আহমেদ বলেন, মানুষ নজর রাখছে। কতদিন কারফিউ চাপিয়ে রাখবে? বিক্ষোভ হবেই। আর লাঠি-গুলি চললে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, কেউ বলতে পারে না। সরকারি কর্মকর্তা ওয়েসিস বলেন, এভাবে কাশ্মীরবাসীকে দাবিয়ে রাখবে ভেবেছে ওরা? উল্টো ফল হবে এই কৌশলের।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ