আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিরোধীয় জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের উদ্বেগজনক ঘটনাগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তুরস্ক। এদিকে কাশ্মীর বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চান এরদোগান।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত তুরস্কের ১১তম রাষ্ট্রদূত সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর ইয়েনি শাফাকের। এরদোগান বলেন, মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোনে ফলপ্রসূ কথা হয়েছে।
আঙ্কারা ওই অঞ্চলের উত্তেজনা নিরসনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কথা বলতে চায়। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় ওই অঞ্চলটি স্বায়ত্তশাসিত হিসেবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ছিল।
গত সোমবার মুসলমান অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত সরকার। ফলে সেখানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতীয় সংবিধানে ৩৭০ ধারা সংশোধনের ফলে বিষয়টি পাকিস্তান, চীন ও ভারতের সঙ্গে ত্রিমুখী বিরোধ শুরু হয়। ইতিমধ্যে লাদাখ অঞ্চল নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও কাশ্মীরের জনগণের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।
হিমালয় অঞ্চলটি পাকিস্তান ও ভারতের অংশে রয়েছে। তবে দেশ দুটি সম্পূর্ণ কাশ্মীর তাদের বলে দাবি করে আসছে। তুরস্ক-রাশিয়ার মধ্যে ভিসামুক্ত ভ্রমণ শুরু হয়েছে। বুধবার থেকে দুই দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশ করতে পারবেন দেশ দুটির নাগরিকরা। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অফিসিয়াল ও চাকরিজীবী ছাড়াও আন্তর্জাতিক চালকদের জন্যও বৈধ। এর মধ্যে তুরস্কের বিশেষ পাসপোর্টধারীরাও রয়েছে। ভিসা চুক্তি ২০১০ সালে করা হলেও ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট আংশিক পুনঃআইন কার্যকর করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। ২০১৫ সালের শেষের দিকে তুর্কি-রাশিয়া সীমান্তে রাশিয়ার একটি বিমান নামা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সাময়িকভাবে ভিসামুক্ত কার্যক্রম স্থগিত করে মস্কো। গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ কার্যক্রমটি (ভিসামুক্ত) পুনরায় শুরু করার আদেশ দেন।
রাশিয়াতে ভিসামুক্ত ভ্রমণে তুরস্কের জনগণের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন পুতিন। এ ঘোষণার পর রাশিয়ার প্রশংসা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। ইয়ানি শাফাক
-এটি