তারেক সাঈদ
অথিতি লেখক
তালবিয়া সম্পর্কে কে না জানে! ছোট বড় সকলেই। হজের দিনগুলো আসতেই মসজিদে মসজিদে তা পাঠ করতে শুনা যায়। আল্লাহ যাদের ভাগ্যে হজকে কবুল করেছেন তাদের কথা কি বলবো! তাদের ইহরামই শুরু হয় এই তালবিয়া দিয়ে। এ তালবিয়া হচ্ছে হজের সঙ্গীত। প্রতিটি হাজির মুখে উচ্চারিত হয়ে প্রকম্পিত হয় আরবের আকাশ বাতাস।
হজ ও ওমরার সফরে তালবিয়া পড়ায় রয়েছে বহু প্রতিদান। হজ ও উমরার সাথে তালবিয়ার সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে সুস্পষ্ট ভাষায় তা বর্ণনা করেন।
আর বার বার তালবিয়া পাঠকারীর জন্য রয়েছে সরাসরি জান্নাতের সুসংবাদ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লোমের বর্ণনায় তালবিয়ার ফজিলত সুস্পষ্ট। হাদিসে এসেছে-
হজরত সাহল ইবনে সাদ আস-সায়েদি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন কোনো ব্যক্তি যখন তালবিয়া পাঠ করে তখন তার ডানে ও বামে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যা কিছু আছে; যেমন- গাছপালা, মাটি, পাথর সব কিছু (তালবিয়া পাঠকারীর সঙ্গে সঙ্গে) তালবিয়া পড়তে থাকে।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কেউ তালবিয়া পাঠ করবে তাকে সুসংবাদ দেয়া হবে। আর যে কেউ তাকবির বলবে তাকে সুসংবাদ দেয়া হবে। (সুসংবাদ সম্পর্কে) জানতে চাওয়া হলো- ইয়া রাসুলাল্লাহ! জান্নাতের সুসংবাদ? উত্তরে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ’। (তাবারানি, তারগিব)
সুতরাং হজের সফরে হজ পালনকারীদের উচিত বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। তালবিয়া পড়ার সময় তা ৪ নিঃশ্বাসে পুরুষরা উচ্চ স্বরে আর নারীরা নিম্নস্বরে পড়বেন-
لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ – لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ – اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ
উচ্চারণ : ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।’
অর্থ : ‘আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত, আমি হাজির; তোমার কোনো অংশীদার নেই; আমি উপস্থিত, নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা; অনুগ্রহ ও সম্রাজ্য সবই তোমার, তোমার কোনো অংশীদার নেই।’ (মুয়াত্তা, তিরমিজি)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত হজ ও ওমরার সফরে তালবিয়া পাঠের ফজিলত দান করুন। হজ পালনকারীদের হজ ও ওমরাকে কবুল করুন। আমিন।
আরএম/