আওয়ার ইসলাম: বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করতে আনা বিলে সম্মতি দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
গতকাল শুক্রবার কাশ্মির পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ নামে এই বিলে স্বাক্ষর করেন তিনি।
গত সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই এই বিল পাস হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই আইন অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবর জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ আলাদা দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন আর পর্যটকদের কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশের পর গত সোমবার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়।
জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে ওই দিনই রাজ্যসভায় বিলের প্রস্তাব পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিনই রাজ্যসভায় পাশ হয় এই বিল। বুধবার পাশ হয় লোকসভায়। আর শুক্রবার রাষ্ট্রপতির সম্মতির মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হলো ওই বিল।
এ আইন অনুযায়ী কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের পুদুচেরির মতো আইনসভা থাকবে। তবে লাদাখ হবে চন্দ্রিগড়ের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই অঞ্চলের কোনো আইনসভা থাকবে না। দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো থাকবে কেন্দ্রের অধীনে।
জম্মু কাশ্মীরে আইনসভার ২৪টি আসন পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের অভ্যন্তরে পড়ায় তা শুণ্য থাকা অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে এই আইনসভার কার্যকর আসন সংখ্যা ৮৭টি। এর মধ্যে চারটি আসন পড়েছে লাদাখ অঞ্চলে। এই আসনগুলো এখন আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হবে।
পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় জম্মু-কাশ্মীরে থাকবে পাঁচ আসন আর লাদাখে থাকবে একটি আসন।
গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, জম্মু কাশ্মীর বেশি দিন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থাকবে না। নির্বাচিত আইন প্রণেতাদের হাতে সেখানকার দায়িত্ব হস্তান্তরে আশ্বাস দিয়ে মোদি বলেন রাজ্যের পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
-এটি