আওয়ার ইসলাম: কাশ্মীরের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকালে ফোন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট আংশিকভাবে চালু করা হয়। জুমার নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটে চলাচল-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। তবে শ্রীনগরে অবস্থিত প্রধান মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেনি মুসলমানরা।
অভ্যন্তরীণ ছোট ছোট মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমতি মিললেও বিখ্যাত জামা মসজিদের ফটক বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। প্রায় সব মসজিদের আশপাশের অঞ্চলে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজ্যের নিরাপত্তার খাতিরেই জামা মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘ধীরে ধীরে কাশ্মীরের অচলাবস্থার অবশান হতে চলেছে। আজ স্থানীয় মুসলমানদের জুমা আদায়ের জন্য মসজিদগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। এতে কোনো বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার খাতিরে প্রধান মসজিদটি খোলা হয়নি।’
নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটে চলাচল-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও স্থানীয়দের নিজ নিজ এলাকার বাইরে অন্য অঞ্চলে যাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন দিলবাগ সিং।
এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে ভারতের অধীনে থাকা জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন বিজেপি।
রয়টার্স জানায়, এখন পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের ৩০০ রাজনৈতিক নেতাকে বন্দি করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে আছেন রাজ্যটির দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহও।
কাশ্মীরের সবগুলো রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক দল ও গোষ্ঠীর জোট হুরিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ ওমর ফারুককে কয়েক ঘণ্টার জন্য গ্রেফতার করা হলেও পরবর্তীতে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (৪ আগস্ট) থেকে কাশ্মীরে সামরিক পরিস্থিতি জারি করা হয়েছিল।
আরএম/