আওয়ার ইসলাম: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করতে মোদি সরকারের নেওয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন কংগ্রেস সমর্থিত এক আইনজীবী।
এম এল শর্মা নামে পিটিশনকারী এ আইনজীবীর দাবি, বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকার যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করছে, তা সম্পূর্ণই ‘অসাংবিধানিক’। যে কারণে জরুরি ভিত্তিতে মামলাটির শুনানি করার জন্য বিচারক বরাবর আবেদনও করেছেন শর্মা।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) পার্লামেন্টে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে রাজ্যটির ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ বা বিশেষ মর্যাদা প্রদান করে তা বিলোপের ঘোষণা দিয়েছিল বিজেপি।
যার মাধ্যমে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি অঞ্চলটির প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে বিলটি রাজ্যসভায় পাস করা হয়। এসবের প্রেক্ষিতে পরদিন মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিরোধীদের ব্যাপক বিরোধের পরও বিলটি লোকসভায় পাস করিয়ে নেয় ক্ষমতাসীনরা।
যেখানে ‘জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ২০১৯’ নামের বিলটির আওতায় অঞ্চলটিকে দুইভাগ করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিণত করার কথা বলা হয়। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ হবে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে দাবি বিজেপির।
এ দিকে এমন প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকারের এসব সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন আইনজীবী শর্মা।
আদালতে তার যুক্তি, ‘সংবিধানের ৩৭০ ধারাকে খারিজ করতে গেলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভায় তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তবে সরকার এমনটা না করেই সম্পূর্ণ একতরফাভাবে ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে।’
এদিকে মোদি সরকারের পাল্টা যুক্তি হলো, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অস্থায়ী; বিলটি যেকোনো সময় বাতিল হয়ে যেতে পারে। আর সে ক্ষমতা কেবল রাষ্ট্রপতিরই আছে। সরকারের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরে এখন আর বিধানসভা নেই। সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসন চলছে। যে কারণে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন।
-এটি