আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তানের আলোচিত সংগঠন জামাতুত দাওয়া ও লস্কর-ই-তৈবার প্রধান মৌলানা হাফিজ সাঈদকে দেশটির প্রসাশন মুক্তি দিয়েছে বলে দাবি করছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম।
টাইমস নাও, হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজের খবরে বলা হয়, ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের দিন তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। কাশ্মির ইস্যুতে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে তাদের দাবি। যদিও এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তার মুক্তির বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি পাকিস্তান সরকার।
এদিকে, এবিপি আনন্দ, ফার্স পোস্টসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সন্ত্রাসের জন্য টাকা দেওয়ার অভিযোগে পাক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে হাফিজ সইদ। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরের একটি আদালত মঙ্গলবার তাকে অপরাধী হিসাবে গণ্য করেছে ৷
জামাত-উদ-দাওয়া প্রধানের বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলাগুলিকে পাকিস্তানের গুজরাতের আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানায় কলকাতা ২৪/৭। সেখানেই পরবর্তী শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ এর মুম্বয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সন্ত্রসী হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিল। ওই হামলার পর থেকে মৌলানা সাঈদ ভারত ও মার্কিন প্রশাসনের নজরে রয়েছে। ওই হামলার পরই হাফিজ সাঈদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী আখ্যা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
২০১২ সালে আমেরিকা তাকে ধরে সাজা দেওয়ার জন্য ভরসাযোগ্য তথ্য দিলে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানে মৌলানা হাফিজ সাঈদের সকল সংগঠনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও এ পর্যন্ত তিনবার তাকে গৃহবন্দি করেছে পাক সরকার।
২০১৭ সালে হাফিজ ও তার ৪ সহযোগীকে সন্ত্রাস দমন আইনের অধীনে আটক করে পাকিস্তান সরকার। তবে পাঞ্জাবের জুডিশিয়াল রিভিউ বোর্ড বন্দিদশা বাড়ানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে ১১ মাস পরেই মুক্তি দেয় তাদের।
সর্বশেষ চলতি বছরের জুন মাসে মৌলানা হাফিজ সাঈদের সংগঠন জামাতুদ- দাওয়া, লস্করে তৈয়্যবা, ফালাহে ইনসানিয়্যাত-এর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অপরাদ দমন শাখা (সিডিডি)।
হাফিজ সাঈদের সংগঠনগুলো সন্ত্রাসীদের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করে বলে তাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে দাবি করা হয়। ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় পাকিস্তান সরকার বেআইনি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করছে, তারই অঙ্গ হিসাবে চলতি বছরের জুন মাসে হাফিজকে গ্রেফতার করা হয়।
আরএম/