আওয়ার ইসলাম: কাশ্মির ইস্যুতে ভারতকে আইনি, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে জবাব দেয়ার কৌশল ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি।
কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন অ্যাটর্নি জেনারেল, পররাষ্ট্র সচিব, আইএসআই-এর মহাপরিচালক, ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স, আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।
কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করার ভারতীয় পদক্ষেপের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
ভারত সরকার কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করার পরপরই দিল্লির সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে পাকিস্তান। এ সিদ্ধান্তের জবাব দিতে সম্ভাব্য সব পথ অবলম্বনেরও হুঁশিয়ারি দেয় ইসলামাবাদ।
৫ আগস্ট সোমবার এ ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মিরের বিরোধপূর্ণ ‘স্ট্যাটাসের’ পরিবর্তন ভারত সরকার একতরফাভাবে করতে পারে না। কারণ, ওই অঞ্চলের ‘মর্যাদা’ কী হবে তা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে উল্লেখ করা আছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের জনগণ এবং পাকিস্তানের কাছে এ সিদ্ধান্ত কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না। আন্তর্জাতিক এ বিরোধে পাকিস্তান একটি অংশ যেহেতু, তাই ভারত সরকার যেসব অবৈধ পদক্ষেপ নেবে তার পাল্টা সব পদক্ষেপ নেবে ইসলামাবাদ।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়ার পর জম্মু-কাশ্মিরের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে রাজ্যসভায় বিল পাস করেছে বিজেপি সরকার।
জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল ২০১৯ নামের এ বিলের আওতায় জম্মু-কাশ্মিরকে দু’ভাগ করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিণত করার কথা বলা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ হবে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
-এএ