আওয়ার ইসলাম: ঈদের ছুটিতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রামের বাড়ি যায় সাধারণ মানুষ। এসময় বাসা-বাড়িতে দীর্ঘসময়ের অনুপস্থিতিতে এডিশ মশার বংশবিস্তার রোধে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৭ আগস্ট) মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ মোকাবিলার লক্ষ্যে নিয়মিত আলোচনা ওই নির্দেশনাগুলো ঠিক করা হয়।
বাড়ি যাওয়ার আগে যা করতে হবে- ১. বাড়ি, অফিস, সকল প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের টয়লেটের হাই ও লো কমোড ঢেকে রেখে যেতে হবে। ২. রেফ্রিজারেটরের ট্রে-এর পানি ফেলে শুকিয়ে রেখে যেতে হবে। ৩. এয়ার কন্ডিশনারের পাইপের পানিসহ যেকোন পানি পরিষ্কার করে রেখে যেতে হবে।
৪. বালতি, বদনা, হাড়ি-পাতিল, ড্রাম, গামলা, ঘটি-বাটি ইত্যাদির পানি ফেলে পরিষ্কার করে উল্টিয়ে রেখে যেতে হবে। ৫. বারান্দা ও বাসার ছাদের ওপর রাখা ফুলের টবের ট্রের পানি ফেলে পরিষ্কার করে উল্টিয়ে রেখে যেতে হবে। ৬. পানির ট্যাংকের ঢাকনা বন্ধ করে রেখে যেতে হবে।
এছাড়া ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- ১. ঈদের ছুটিতে সকল সরকারি-বেসরকারী হাসপাতালের হেল্প ডেস্ক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২. ঈদের দিন কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারগণ (সি,এইচ,সি,পি) অন-কল এ চিকিৎসা কাজে দায়িত্বরত থাকবেন। স্থানীয় কোন রোগীর যে কোন সমস্যায় সি,এইচ,সি,পি-দের প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করবেন।
৩. ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং চালু থাকবে। ৪. বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি-এর সহযোগিতায় ২৬ টি জেলার সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট আরএমও, মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞের অংশগ্রহনে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
৫. ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে সরকারি হাসপাতালসমূহে ৩৪০ টি আই,সি,ইউ বেড ও ৩৩৫ টি ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু আছে। এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালসমূহেও এই সেবা চালু আছে। ৬. সকল বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, নৌ ও সমুদ্র বন্দরসমূহে এক্স-স্ট্যান্ডের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে বিশেষ সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, এমআইস বিভাগের পরিচালক ডা. সমীর কান্তি সরকার, লাইন ডিরেক্টর ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী, হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্টর ডা. এম এম আকতারুজ্জামান, জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
-এটি