আওয়ার ইসলাম: আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী পশুর হাট শুরু হচ্ছে আজ। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই হাটে গরু আনতে শুরু করেছেন ব্যাপারীরা। এরই মধ্যে বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে।
ইজারাদারেরা বলছেন, বন্যা পরিস্থিতির কারণে এ বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই ব্যবসায়ী ও পাইকারেরা হাটে গরু নিয়ে চলে এসেছেন। মূলত এ কারণেই হাট আগেভাগে শুরু হয়ে গেছে।
ঢাকার দুই সিটিতে কোরবানির পশুর হাট বসছে ২১ টি। ইজারাদারকে দেওয়া কার্যাদেশের শর্তাবলির ১ নম্বরে আছে, ‘গবাদিপশুর হাট ঈদের দিনসহ মোট ছয় দিন চালু থাকবে।’ ১২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা। সে হিসেবে ৭ আগস্টের আগে হাট বসতে পারবে না।
মঙ্গলবার দুই সিটির অন্তত ১৩টি হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব হাটেই কোরবানির পশু উঠে গেছে। গরুভর্তি ট্রাক হাটে ঢুকছে। হাসিল আদায়ের নির্ধারিত স্থানে রসিদ ও টাকা রাখার বাক্স নিয়ে অপেক্ষা করছেন ইজারাদারের লোকজন।
গরুর পাইকার, ক্রেতা ও আগ্রহী লোকজনের উদ্দেশে মাইকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, সতর্কতা ও পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হচ্ছে। ট্রাফিক বিভাগ, থানা-পুলিশ, আনসার সদস্যরা নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও ওয়াচ টাওয়ারে অবস্থান করছেন। লোকজন হাটে আসছেন। অনেকে দরদাম করছেন।
ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোম ও মঙ্গলবার ১৩টি হাটে ৪১টি গরু ও ৭টি খাসি বিক্রি হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের আগেই হাট বসার ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, ইজারাদারেরা হাটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এর মধ্যেই অনেক ব্যবসায়ী হাটে গরু নিয়ে চলে এসেছেন। তাদের ফেরত পাঠানোর সুযোগ নেই।
আরএম/