আওয়ার ইসলাম: হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপির শীর্ষ ৪ নেতা।
আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে এ আবেদন জমা দেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।
বিএনপির শীর্ষ চার নেতা হলেন- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
পরে মামলার শুনানি নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার। তাই এ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান বিএনপির চার শীর্ষ নেতা।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বরখাস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা এবং ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২৩ জুলাই মামলার বাদী এবি সিদ্দিকীর বাসায় একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠান বুয়েটের বরখাস্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এইবার তোকে মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠালাম। তোর (এবি সিদ্দিকী) পরিবারসহ সবাইকে খুন করবো।
তোদের ভোটবিহীন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিবের পরিবারের সবাইকে আগামী ১৫ আগস্টে আইএস দিয়ে খুন করাবো। বোমা মেরে শেখ মুজিবের মাজার উড়িয়ে দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হবে নতুন বাংলাদেশ। যেখানে থাকবে না জয় বাংলা, থাকবে না মুজিব বাহিনীর মুজিব কোট, শুধু থাকবে নতুন বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
আমাদের নেতা তারেক রহমান আইএসের সঙ্গে চুক্তি করে আইএসসহ আমাকে (হাফিজুর রহমান রানা) তোদের খুন করার জন্য পাঠিয়েছে। অবৈধ সরকারকে ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের মতো খুন করা হবে। আমি (রানা) দেশের নেতাদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে তোদের সবার (খুনের) তালিকা করে আইএসের কাছে পাঠিয়েছি। এবার তোরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক’।
পরে তিনি নিরাপত্তা চেয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনকে আসামি করে ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন।
পরে মামলার শুনানি নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার।
-এএ