আওয়ার ইসলাম: কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার বাতিল এবং দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার বিষয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য ও ভেটো ক্ষমতাধর পাঁচটি দেশের কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছে ভারত।
গতকাল সোমবার সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর এই ব্রিফ করা হয় বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতদের কাশ্মির পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেন। অন্যান্য রাষ্ট্রের দূতদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবরা ব্রিফ করেছেন।
খবরে বলা হয়েছে, দুপুরে ব্রিফিং শুরু হয়ে চলে পড়ন্ত দুপুর পর্যন্ত। দূত ও কূটনীতিকদের সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। তবে পাকিস্তান এই তালিকায় ছিল না।
জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যদের ছাড়া কূটনীতিকদের মধ্যে যারা বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখাবে তাদের ব্রিফ করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ব্রিফে রাষ্ট্রদূতদের বলা হয়েছে, কাশ্মিরের ইস্যুটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। রাজ্যটিতে সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্যই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা, যা কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ বা বিশেষ মর্যাদা দেয় তা বিলোপ করার ঘোষণা দেয় বিজেপি সরকার। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার সংসদে বিরোধীদের তুমুল বাধা ও বাক-বিতণ্ডার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
বিশেষ মর্যাদার মাধ্যমে এতদিন কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি বাস্তবায়নে কাশ্মীরের রাজ্য সভার অনুমোদন প্রয়োজন হতো। রাজ্যে জমি কেনা ও সরকারি চাকরি রাজ্যের বাইরের লোকদের জন্য নিষিদ্ধ ছিলো।
এই মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে, যাতে দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ গোভিন্দ স্বাক্ষরও করেছেন। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া কাশ্মিরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা উসমান মজিদ এবং সিপিএম বিধায়ক এমওয়াই তারিগামিকেও রাতে আটক করা হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে।
সেইসঙ্গে শ্রীনগর আর জম্মু অঞ্চলে ১৪৪ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরএম/