আওয়ার ইসলাম: কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমরান খানকে একহাত নিলেন জমিয়তে উলামায়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের শীর্ষস্থানীয় মুসলিম নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মোদির সরকার কাশ্মির নিয়ে যা কিছু করেছে, সবই পূর্বপরিকল্পিত। নির্বাচনী ইশতেহারে মোদির দল বিজেপির প্রচার থেকে তা স্পষ্ট হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি বলেছিল, আমরা কাশ্মিরের বিষয়ক আইন ৩৭০ ধারা বাতিল করব। ”
“কিন্তু সেই সময় আমাদের কাপ্তান সাহেব (ইমরান খান) মোদির জয়কে কাশ্মির সংকটের সমাধান হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মোদি যদি সফলতা পায় তবে কাশ্মির সংকট সমাধান হবে।” বলেন মাওলানা ফজলুর রহমান।
মজলিসে মুত্তাহিদা আমলের প্রধান এ নেতা বলেন, ইমরান খান কাশ্মীরকে ট্রাম্পের কাছে বিক্রি করে এসেছেন এবং নিজেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে খালি হাতে এসেছেন।
সরকারের সমালোচনা করে পাকিস্তানের কাশ্মীর কমিটির সাবেক সভাপতি আরও বলেন, কাশ্মীর বিষয়ে সরকার এখনও কোনো পলিসি নির্ধারণ করেনি। সেনা কমান্ডারদের বৈঠকেও কাশ্মীর নিয়ে কয়েকটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে, অথচ সরকার এখনও স্পষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীও কাশ্মীর ইস্যুতে চুপ রয়েছেন।
কাশ্মীরের বর্তমান সংকটের জন্য ইমরান খানকে দায়ী করে মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ইমরান খান কাশ্মীরকে ট্রাম্পের কাছে বিক্রি করে এসেছেন। সিলেক্টেড প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের কাছ থেকেও খালি হাতে ফিরে এসেছেন। আত্মসমর্পণ করা ইমরান খানের বংশীয় স্বভাব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই সংকটকালীন এ মুহূর্তে জনগণ এ সরকারের ওপর ভরসাও রাখতে পারছে না। আমি পাকিস্তানবাসীর কাছে আবেদন করব, আসুন আমরা এক হই। আজাদীর এ লড়াইয়ে আমাদের কাশ্মীরিদের সহায়তা করতে হবে।
কাশ্মীরি জনগণকে আমাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, আমরা এ সময় তাদের সঙ্গে রয়েছি।
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) লোকসভায় কাশ্মিরের ৩৭০ ধারা রদের বিলটি পাস করল দেশটির সাংসদরা। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে আলাদা দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই স্থানীয়-বৈশ্বিক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
আরএম/