আওয়ার ইসলাম: রিফাত হত্যা মামলার আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে প্রচণ্ডভাবে শারীরিক নির্যাতন করে আসামি হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কাছে এ অভিযোগ করেছে মিন্নি।
রোববার মিন্নির মা-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের কাছে এ এস আই রিতার নেতৃত্বে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন মিন্নি। মেয়ের মুখ থেকে শোনা নির্যাতনের ঘটনা সাংবাদিকদের বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মিন্নির মা জিনাত জাহান।
মিন্নির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার পরিবারের সদস্যরা জেল গেটে সাংবাদিকদের জানান, রোববার কারাগারে পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ মিন্নির খোঁজখবর নেন। এ সময় মিন্নি তার ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে সে কথা ডিসিকে জানান।
মিন্নির মা বলেন, এএসআই রিতার নেতৃত্বে মিন্নির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। মিন্নিকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ১২-১৩ ঘণ্টা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়।
এ সময় পানি পান করতে চাইলেও তাকে পানি দেয়া হয়নি। গ্রেপ্তার দেখানোর পরে রাতে পানির সঙ্গে ইয়াবা ট্যাবলেট মিশিয়ে তাকে খেতে দেয়া হয়েছে।
একটি সাদা কাগজে লিখিত বক্তব্য দিয়ে তাকে মুখস্থ করতে পুলিশ বার বার চাপ দিয়েছে। যতক্ষণ মুখস্থ বলতে না পেরেছে ততক্ষণ পর্যন্ত রিতা ও তার সহযোগীরা তাকে নির্যাতন করে। পুলিশ মিন্নিকে ভয় দেখিয়ে বলে লিখিত বক্তব্য আদালতে না বললে তার বাবা-মা ও চাচাদের ধরে আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন মিন্নির স্বামী রিফাতকে প্রকাশ্য সড়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সে সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তদন্তের পর পুলিশ জানায় মিন্নিও এই হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী।
-এএ