আওয়ার ইসলাম:ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের মামলায় গ্রেপ্তার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলার বিচার শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু করেছেন আদালত।
সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ গঠন করেন এই অভিযোগ। গত ৯ জুলাই ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়।
এর আগে, গত ৩ জুলাই ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে চার্জশিটটি জমা দেওয়া হয়। ১০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে একমাত্র আসামি এস এম সিরাজ উদ দৌলা।
এদিকে, নুসরাতকে যৌন নিপীড়ন ও তাকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় আসামিদের আজ আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষীদের জেরা করা হয় ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে আটক করে।
পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই ৯৬ দিনের মাথায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তিনি বলেন, যৌন হয়রানির মামলায় ২৭১ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার সময় মোবাইল ফোনে ধারণকৃত অডিও-ভিডিও রেকর্ডের দুটি কপি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই।
গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন তাঁর মা। ওই দিনই পুলিশ সিরাজকে গ্রেপ্তার করে।
৬ এপ্রিল পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে সাইক্লোন শেল্টার ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ৮ এপ্রিল নুসরাতের ভাই সিরাজকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাতের মৃত্যু হয়। ওই দিনই হত্যার ধারায় যুক্ত মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় পিবিআইকে।
আরএম/