বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

খুলনায় ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: খুলনার জিআরপি থানার ওসি ওসমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন এক নারী।

এদিকে আদালতের নির্দেশে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার রাতে ওই তরুণীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়নি। আজ তাকে আবারও হাসপাতালে নেয়ার কথা রয়েছে। তবে ঘটনাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওসি।

ওই তরুণীর দুলাভাই জানান, গত ২ আগস্ট (শুক্রবার) তার শ্যালিকা যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। এ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে সন্দেহমূলকভাবে ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গনি পাঠান তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর আরও ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

পরদিন শনিবার তাকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয় বলে তার শ্যালিকা তাদের জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর তার শ্যালিকা জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন।

এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওসি ওসমান গনি ওই পরিবারকে মোটা অঙ্কের টাকা প্রদানের প্রস্তাবও দিয়েছেন বলে তারা দাবি করছেন।

ওসি ওসমান গনি এ ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। আজ সকালে তিনি বলেন, শুনেছি ওই তরুণী তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাকে মহিলা এসআই এবং মহিলা কনস্টেবল ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। আর থানায় রাতে তিনজন নারী পুলিশসহ ৮জন পুলিশ পাহারায় থাকে। সেখানে তাকে ধর্ষণের কোনো সুযোগ নেই। মূলত ফেন্সিডিল আটকের মামলা থেকে রক্ষা পেতে সে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ