আওয়ার ইসলাম: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর ও জম্মু অঞ্চলে ১৪৪ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন মুসলিম রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। সেই সাথে গোটা রাজ্যে মোবাইল টেলিফোন আর ইন্টারনেট সেবা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এ এন আই সোমবার এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, সোমবার সকালে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা একটি বৈঠকে বসতে চলেছে, যেখানে কাশ্মীর নিয়েই মূলত আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইট করে জানান, আমাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। অন্যান্য মূল ধারার রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রেও সম্ভবত একই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে ভারতের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ওমর আবদুল্লা নয়, আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং সাজ্জাদ লোনকেও গৃহবন্দী করা হচ্ছে।
মেহবুবা মুফতি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমি আশ্বাস দিতে চাই, যাই হোক, আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আমাদের যেটা অধিকার, সেটা পাওয়ার লড়াই থেকে কোনও কিছুই আমাদের সরিয়ে আনতে পারবে না!’
প্রসঙ্গত, গত শনিবার থেকেই আতঙ্কের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন কাশ্মীরের মানুষ। হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। কেউ কেউ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগাড় করে রাখছেন।
সরকার বিবৃতি দিয়ে পর্যটকদের কাশ্মীর ত্যাগ করতে বলেছে। তার ওপর নতুন করে হাজার হাজার সেনা (৩৫ হাজার সৈন্য) মোতায়েন করা হয়েছে ভারতের ওই রাজ্যে। প্রশ্ন উঠেছে কী ঘটতে চলেছে কাশ্মীরে।
গত শনিবার কাশ্মীরে থাকা পর্যটক ও অমরনাথ যাত্রায় অংশ নেওয়া হিন্দু তীর্থ যাত্রীদের কাশ্মীর ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। বাড়তি আধাসামরিক বাহিনীর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভারত সরকারে পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরেছে হামলা হতে পারে কাশ্মীরে।
আরএম/